কয়েক বছর আগে কলকাতা শহর তো বটেই, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও শোরগোল উঠেছিল শোভন চট্টোপাধ্যায় (Shobhan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)-র প্রেম নিয়ে। শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee) বৈশাখীর সাথে তাঁর স্বামীর পরকীয়ার অভিযোগ করলে প্রথমে তা মানতে না চাইলেও পরে নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেন শোভন ও বৈশাখী। সম্পর্কের দীর্ঘ চাপান-উতোরের পর বৈশাখীর সাথে লিভ-ইন-এ থাকতে শুরু করেন শোভন। তাঁদের সাথেই থাকেন বৈশাখীর একমাত্র কন্যা। তার সাথেও শোভনের সম্পর্কের রসায়ন যথেষ্ট সুন্দর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন বৈশাখী। অধিকাংশ সময়েই এই কারণে সমালোচিত হন তাঁরা। টুইনিং করে পোশাক পরেন শোভন ও বৈশাখী। ক্যামেরার সামনে ধরা পড়ে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। কয়েক বছর আগে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলার সময় বৈশাখীর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিয়েছিলেন শোভন। তবে রত্নার সাথে তাঁর আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। ফলে বৈশাখীকে বিয়ে করতে পারেননি শোভন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শোভনের সাথে তাঁর প্রথম দেখা হওয়ার দিনের কথা জানালেন বৈশাখী। শোভনের সাথে বৈশাখী যেদিন প্রথমবার দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেদিন তাঁর সাংবাদিক বন্ধু মনোযোগ দিয়ে বৈশাখীকে শোভনের দুই হাত দেখতে বলেছিলেন।
View this post on Instagram
তিনি বলেছিলেন, শোভনের এক হাতে ব্রেসলেট ও অপর হাতে ঘড়ি থাকে। অপর এক বন্ধু বলেছিলেন, শোভনের পরনে উত্তম কুমার (Uttam Kumar)- এর গিলে করা পাঞ্জাবিটাও দেখা উচিত। সেদিন শোভনকে স্টাডি করতেই গিয়েছিলেন বৈশাখী। বিকাল চারটের সময় শোভনের সাথে দেখা হয়েছিল তাঁর। এর আগে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ওই ধরনের সাজে দেখেননি বৈশাখী। শোভন জানালেন, 2009 সালে একটি মিউনিসিপ্যালিটির বডি তৈরি হচ্ছিল। দূরে কয়েকজন ভদ্রমহিলা পিকনিক করছিলেন।
হঠাৎই শোভনের দিকে তাঁদের মধ্যে একজন এগিয়ে আসেন। সেদিন শোভনের মনে ফুটে উঠেছিল গানের কলি “তোমার দেহের ভঙ্গিমাটি যেন বাঁকা সাপ, পায়ে পায়ে ছড়িয়ে রাখো যৌবনেরই ছাপ। দীর্ঘদিন ধরেই বৈশাখীকে চেনেন শোভন। বৈশাখী কবে কোন শাড়ি পরেছিলেন তাও খেয়াল থাকে তাঁর। শোভনের মেমরি ফটোজেনিক বলেই মনে করেন বৈশাখী।