whatsapp channel

Lifestyle: মোবাইলে মুখ গুঁজে থাকে আপনার বাচ্চারা? পড়াশোনায় মন ফেরান এই কয়েকটি সহজ উপায়ে

বাচ্চারা (Children) স্বভাব চঞ্চল। এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকা বা মনোযোগ দিয়ে কিছু করা তাদের ধাতে নেই। এখন খোলা জায়গা, খেলার মাঠের অভাবে বেশিরভাগ বাচ্চাই হয়ে উঠেছে ঘর বন্দি। এমতাবস্থায়…

Nirajana Nag

Nirajana Nag

বাচ্চারা (Children) স্বভাব চঞ্চল। এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকা বা মনোযোগ দিয়ে কিছু করা তাদের ধাতে নেই। এখন খোলা জায়গা, খেলার মাঠের অভাবে বেশিরভাগ বাচ্চাই হয়ে উঠেছে ঘর বন্দি। এমতাবস্থায় সন্তানরা যাতে বিরক্ত না হয়ে পড়ে এ জন্য বাবা মায়েরাই তাদের হাতে তুলে দেন মোবাইল ফোন, ট্যাব। নিজেদের কর্মব্যস্ত জীবনে বাচ্চাদের দিকে নজর দেওয়ার সময়ও বাবা মাদের। আর এই ফাঁকটাই দখল করে বসছে বিভিন্ন গ্যাজেটস। এই অত্যাধুনিকতা কিন্ত আখেরে বাচ্চাদের ক্ষতিই করছে।

পড়াশোনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বাচ্চাই অমনোযোগী থাকে। তাদের ধৈর্য্য নিয়ে বসে পড়াতে হয়। কিন্তু এখন বেশিরভাগ বাবা মায়েরা দুজনেই চাকরিজীবী। সন্তানের পেছনে ব্যয় করার জন্য হাতে সময় থাকে খুব সীমিত। তাহলে উপায় কী? মোবাইল ফোনের আকর্ষণ থেকে মন সরিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী করে তোলা যায় কীভাবে তাদের? এই প্রতিবেদনে রইল কিছু সহজ উপায়।

পড়াশোনা মজার করে তুলতে হবে বাচ্চাদের কাছে। ব বাচ্চাই আনন্দ করতে ভালোবাসে। পড়াশোনাটাও যদি তারা আনন্দ করে করতে পারে তাহলে এর মধ্যেও আকর্ষণ খুঁজে পাবে শিশুরা। পড়াশোনা জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝাতে হবে বাচ্চাদের। না, গম্ভীর মুখে বোঝালে চলবে না। এতে তাদের ইন্টারেস্ট আরোই হারিয়ে যাবে। বর্তমানে বাচ্চাদের কাছে কাজ মানেই সেটা ‘বোরিং’। তাই তাদের যেটা পছন্দ তার সঙ্গে পড়াশোনাকে মিলিয়ে সহজ করে তাদের বোঝাতে হবে। পড়াশোনা সম্পর্কে বাচ্চাদের মনে ভীতিটা কাটিয়ে উঠতে হবে। এর জন্য একটা সময় বেঁধে দেওয়া দরকার। উদাহরণস্বরূপ, সন্ধ্যায় ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় হোম ওয়ার্কের পেছনে ব্যয় করতে হলে বাচ্চাদের বলতে হবে, এই সময় টুকুর জন্যই পড়াশোনা করতে হবে।

বাচ্চারা পুরস্কার পেতে ভালোবাসে। মন দিয়ে পড়লে বা পড়া পারলে তাদের চকোলেট দিয়ে পুরস্কৃত করলে পড়াশোনার প্রতি বা আরো মন দিয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে তাদের। পাশাপাশি বাচ্চাদের প্রশংসা করা বা উৎসাহ দেওয়াও জরুরি। ছোট ছোট কাজের জন্যও শিশুদের উৎসাহ দিতে হবে। ছোটরা সব কিছু বড়দের দেখেই শেখে। তাই তাদের ভালো শিক্ষা দেওয়া জরুরি। বাচ্চাদের পড়ার সময়ে নিজেরাও কিছু পড়ায় মন দিলে বড়দের দেখাদেখি বাচ্চারাও পড়বে। স্কুল যাওয়ার প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে। স্কুল মানেই বন্ধুবান্ধব। সবার সঙ্গে মিলেমিশে পড়াশোনা, খেলাধুলোর আনন্দ ছোটদের বোঝাতে পারলেই স্কুলের প্রতি আগ্রহ বাড়বে তাদের।

whatsapp logo
Nirajana Nag
Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই