গরমে সারাদিন ফ্যান চালিয়েও বিদ্যুতের বিল কমিয়ে ফেলুন এই উপায়ে
পাল্লা দিয়ে পারদ চড়েই চলেছে রাজ্যে। বিগত ৭০ বছরে রেকর্ড গরম পড়েছে কলকাতায়। পথচলতি মানুষ হাঁসফাঁস করছেন গরমে। যারা বাড়িতে রয়েছেন শান্তি নেই তাদেরও। সিলিং ফ্যানের (Ceiling Fan) হাওয়াও যেন আগুন গরম। এদিকে সারাক্ষণ ফ্যান চলতে থাকায় হাওয়া যেমন গরম হয়ে উঠছে, তেমনি অনেকে আবার অভিযোগ তুলছেন ফ্যানের স্পিড কমে যাওয়ার। শুধু তাই নয়, রয়েছে আরেক চিন্তাও। প্রচণ্ড গরমে ফ্যান একটুও বিরতি না পাওয়ায় চড়চড়িয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের বিলও। এমতাবস্থায় অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসে, ফ্যান চালিয়েও কীভাবে বিদ্যুতের বিলে কাটছাঁট করা যায়।
ফ্যান চললে কতটা বিদ্যুৎ খরচ হবে তা নির্ভর করে ফ্যানের গতির উপরে। অনেকেরই প্রশ্ন থাকে, কত স্পিডে ফ্যান চালালে বিদ্যুতের বিল কম আসবে? সিলিং ফ্যানের সঙ্গেই থাকে রেগুলেটর, যা দিয়ে ফ্যানের স্পিড কন্ট্রোল করা যায়। ১, ২ কিংবা ৫ বা ৬ তে চালানো যায় ফ্যান। কিন্তু এই রেগুলেটরগুলি ভোল্টেজ কমিয়ে ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করলেও বিদ্যুতের খরচ মোটেই কমায় না। অর্থাৎ ৫ বা ৬ এর বদলে ২ কিংবা ৩ এ ফ্যান চালালেও বিদ্যুতের বিল একই আসবে।
উল্লেখ্য, বাজারে মূলত দু ধরণের রেগুলেটর পাওয়া যায়। এক ধরণের রেগুলেটর ফ্যানের গতি কমালেও বিদ্যুতের খরচে বিশেষ কোনো হেরফের আনতে পারে না। আরেকটি রয়েছে ইলেকট্রিক রেগুলেটর। এই ইলেকট্রিক রেগুলেটর গুলিই হল বিশেষ ধরণের রেগুলেটর যা বিদ্যুতের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
বাজার চলতি সাধারণ রেগুলেটর গুলির তুলনায় এই ইলেকট্রিক রেগুলেটরগুলি আকারে বেশ বড়। এই ইলেকট্রিক রেগুলেটরগুলিতে বিদ্যুতের বিল কম আসায় এই ধরণের রেগুলেটর বাড়িতে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন সাইটেও এই রেগুলেটরগুলি কিনতে পাওয়া যায়।