Lifestyle: নারীর কুমারীত্ব নিয়ে ভাঙুন ভুল ধারণা, জানুন মেয়েদের সতীচ্ছদ আসলে কি!
প্রত্যেক নারীর সহবাসের পরে যখন রক্তপাত হবে তার মানে বুঝতে হবে সেই নারীর চরিত্র ভালো। বিবাহের আগে তার কোনো পুরুষের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক হয়নি। এই ধারনা নিয়ে এখনও আমাদের সমাজে কিছু কিছু মানুষ বসবাস করেন। সতীত্ব ও সতীচ্ছদ পর্দা নিয়ে আমাদের স্বচ্ছ ধারণা এখনো পর্যন্ত নেই। সমাজে এগিয়েছে, কিন্তু কয়েকটা বাজে ধারণা মানুষের মধ্যে এখনো রয়ে গেছে।
শুধু ভারতবর্ষেই নয়, ভারতবর্ষ থেকে খানিকটা এগিয়ে গিয়েও পাকিস্তান, আফগানিস্তান সহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এটাকে মেনে নেওয়া হয়। সতীচ্ছদ বা হাইমেন হলো এক ধরনের পর্দা যেটা যৌনাঙ্গের সামনে অবস্থান করে। আর পুরোপুরি যোনিমুখ ঢেকে রাখে। হাইমেন এর গঠন প্রত্যেকটি নারী ভেদে আলাদা হয়। কারো হাইমেন অনেক বেশি পুরু, কারোর পাতলা হয়। অনেক সময় বিয়ের আগে অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে, সাইকেল চালালে অথবা নাচ করলে হাইমেন এমনি ছিঁড়ে যায়। এছাড়া অনেকেই বিয়ের আগে থেকেই পিরিয়ড চলাকালীন প্যাডের পরিবর্তে ট্যাম্পন অথবা, মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করে থাকেন এর ফলেও হাইমেন ছিঁড়ে যেতে পারে।
বিয়ের আগেই যাদের এই সমস্ত কারণে হাইমেন ছিঁড়ে যায়। তাদের খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রথম মিলনে রক্তপাত হবেনা, এটাই স্বাভাবিক। একটি মেডিক্যাল জার্নাল থেকে জানা গেছে, ৬৩ শতাংশ মহিলাদের প্রথম যৌন মিলনের পর রক্তপাত হয়না। প্রথম মিলনের পর রক্তপাত হলোনা মানে সে মহিলার চরিত্রদোষ আছে, এমনটাও কিন্তু নয়। যে সমস্ত নারীরা খুব কর্মঠ হয়, আর তাদের যদি কোনো কারণে হাইমেন পাতলা হয় তাহলে প্রথম মিলনের আগেই হাইমেন ছিঁড়তে পারে।
অনেক সময় পুরুষ সঙ্গীটির জোর করে মিলনের ফলে হাইমেন ছিঁড়ে রক্তপাত হতে পারে। তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাইমেন ছিঁড়ে রক্তপাতের ঘটনা অনেকই কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই কারণেই নারীদের নানা কারণে অবহেলিত হতে হয়। হাইমেন ছিল কি ছিলনা এর উপরে বিচার করা হয় তাদের চরিত্রকে। তবে সব শেষে একটা কথাই বলা হয়নি, হাইমেন দিয়ে কোন মেয়ের কুমারীত্বকে বিচার করা ঠিক নয়। এটি খুব স্বাভাবিক কারণে বিয়ের আগেই ছিঁড়ে যেতে পারে। তাই অযথা সন্দেহ করে নারীদের অপমান করবেননা।