ভুলে যান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, এবার পুরুষ-মহিলা উভয়েই পাবেন সরকারের তরফে মোটা টাকা
রাজ্যবাসীর কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। কিছু প্রকল্প চালু করা হয়েছিল তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই। আবার কিছু কিছু প্রকল্প চালু করা হয়েছে পরবর্তীকালে। বর্তমানে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, যুবশ্রী, বার্ধক্য ভাতার মতো একগুচ্ছ প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্য সরকারের। তবে এই সমস্ত প্রকল্পের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয়তা পেয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Lokkhir Bhandar)।
গত বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন সরকার গঠন করেই মহিলাদের আর্থিক ভাবে বলীয়ান করতে এই প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি, যা পরবর্তীকালে মাস্টারস্ট্রোক হয়ে ওঠে রাজ্য সরকারের। এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে পেতেন জেনারেল কাস্টের মহিলারা। আর তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। তবে এই টাকার পরিমাণ সম্প্রতি ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। আর যারা ৫০০ টাকা করে পেতেন তারা পাচ্ছেন ১০০০ টাকা। এ বিষয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঢালাও প্রচারও হয়েছিল সরকারের তরফে।
এবার ফের এক দারুণ ঘোষণা করা হল সরকারের তরফে যাতে উপকৃত হবেন আরো বহু মানুষ। এই ঘোষণা অনুযায়ী, এবার সরকারের তরফে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সমাজের এক শ্রেণির মানুষকে এই টাকা দেওয়া হবে সরকারের তরফে। বিশেষ করে জীবিকায় তাঁত শিল্পী যারা তারা খুব সহজেই এই টাকা পেয়ে যাবে। তাঁতিদের জন্য সম্প্রতি এই প্রকল্প খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি এই প্রকল্পে কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ঋণ মুক্তি, সুতো কিনতে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তাঁতের ঘর মেরামত, তাঁতের সরঞ্জাম কেনার জন্য পাওয়া যেতে পারে টাকা।
উল্লেখ্য, সরকারের তরফে তাঁতের ঘর মেরামতের জন্য এককালীন ৫০০০ টাকা এবং তাঁতের সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০,০০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। এছাড়া কোনো শিল্পীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার সরকারের তরফে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যও পাবে। এই টাকা পেতে গেলে আধার, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং তাঁত শিল্পীর পরিচয়পত্র থাকতে হবে। এই টাকা পেতে আবেদন করার জন্য বিডিও অফিস থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সমস্ত তথ্য পূরণ করে ফের বিডিও অফিসেই ফর্ম জমা করতে হবে।