Hilsa Price: রান্নাপুজোর আগেই কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশ, কেমন হবে দাম! এসে গেল গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
আগামী অক্টোবরের বাঙালির দুর্গাপূজা। আর দুর্গাপূজা মানেই রসনাতৃপ্তির জন্য ইলিশের সন্ধান। যদিও পুজোর অনেক আগেই ফুরিয়ে যাচ্ছে বর্ষাকাল। তাই এপার বাংলায় ইলিশের যোগান সেই সময় ততটা স্বচ্ছল থাকে না। তাই পুজোর সময় অগত্যা বাংলাদেশী পদ্মার ইলিশের দিকে তাকিয়ে থাকে। যদিও পুজোর আগেই বিশ্বকর্মা পুজোর সময় রান্নাপুজো হয় গোটা বাংলায়। তাই সেই সময়েও সব মাছের পাশাপাশি ইলিশের চাহিদাও থাকে তুঙ্গে।
তাই এবছর পুজোর আগে বাংলাদেশি ইলিশ মাছের আমদানির বিষয়ে বিশেষ সক্রিয় হয়েছে কলকাতার মাছ আমদানিকারক সংস্থা। জানা গেছে, ইতিমধ্যে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের কাছে। এদিকে পুজোর আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে ওপার বাংলার মৎস্য রপ্তানিকারক সংস্থাও। জানা গেছে, এই বিষয়ে উপরমহলে আলোচনাও হয়েছে বিস্তর। আর তাই এই বিষয়ের আপডেট দিয়ে বাংলাদেশের মৎস্য রপ্তানিকারক সংস্থার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে কী পরিমাণ, সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যে আবেদন এসেছে তার মধ্যে থেকে বাছাই করে অনুমতি দেওয়া হবে। আগামী ১৫ তারিখ এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”
এদিকে জানা গেছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ১০০-র বেশি মৎস্য রপ্তানিকারক এই বিষয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। তবে এবার আবেদনপত্র বাছাইয়ের বিষয়েও বিশেষভাবে নজর দিয়েছে ওপার বাংলার সরকার। তার অন্যতম কারণ হল গতবছরের ইলিশ রপ্তানিতে ঘাটতি। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর বাংলাদেশের মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট ২,৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক ওই নির্ধারতির পরিণাম ইলিশ সরবরাহ করতে পারেনি।তাই এবার এই বিষয়ে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। তবে সেই বাংলাদেশি ইলিশের দাম কেমন হবে, তা জানা যায়নি এখনো।
★ আজ কলকাতার বাজারে ইলিশের দাম
● ৫০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ : ৮০০-১,১০০ টাকা কেজিপ্রতি।
● ১ কেজি সাইজের ইলিশ : ১,৪০০-১,৮০০ টাকা কেজিপ্রতি।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ দুর্গা পূজার আগে বাংলাকে ২,৯০০ টন ইলিশ উপহার দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাত্র ১,৩০০ টন ইলিশ পাঠানো সম্ভব হয়েছে। তাই এবার বর্ষার ঘাটতি থাকায় বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানিকারক সংস্থাকে সেই দেশের মৎস্যজীবীদের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে যে স্বাভাবিকভাবে ২০-৩০ দিনের সময়ের পরিবর্তে কমপক্ষে ৬০ দিনের পর্যাপ্ত সময় যাতে তাদের দেওয়া হয়।