whatsapp channel

Gold Limit: এর বেশি সোনার গয়না কাছে রাখলেই পড়বে আয়কর বিভাগের নজর, জেনে নিন সর্বোচ্চ সীমা

ভারতের মতো দেশে সোনার চাহিদা বরাবর একটু বেশি। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় রাজা মহারাজাদের মদ্বয়ে যেমন সোনার গয়না পরার চল ছিল, তেমনই আবার রাজরানী বা পাটরানীদের কাছেও থাকতো সোনার গয়নার সম্ভার।…

Debaprasad Mukherjee

Debaprasad Mukherjee

Updated on:

ভারতের মতো দেশে সোনার চাহিদা বরাবর একটু বেশি। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় রাজা মহারাজাদের মদ্বয়ে যেমন সোনার গয়না পরার চল ছিল, তেমনই আবার রাজরানী বা পাটরানীদের কাছেও থাকতো সোনার গয়নার সম্ভার। আর ভারতে সেই প্রাচীনকালের সংস্কৃতি এখনো রয়ে গেছে প্রকটভাবেই। সেই কারণে ভারতে সোনার চাহিদা অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশের থেকে অনেকটাই বেশি। এছাড়াও সোনার ব্যবহার রয়েছে উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রেও। বিয়েবাড়ি থেকে জন্মদিন এমনকি ছোটখাটো অনুষ্ঠানেও সোনার গয়না উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে আমাদের দেশে।

আর এইসব কারণেই সোনার দামের দিকে প্রতিদিন নজর থাকে অনেকের। তবে সোনার দামের থেকেও সোনার বিষয়ে আরো কিছু তথ্য সকলের জেনে রাখা জরুরি। নাহলে পড়তে হতে পারে ভীষণ সমস্যায়। কারণ বর্তমানে সোনা হল একটি বহুমূল্যবান ধাতু। তাই এটিকে স্থাবর সম্পত্তি হুসেবেই বিবেচিত হয় এখন। আর সেই কারণে বাড়িতে ঠিক কতটা পরিমান সোনা রাখলে আয়কর দফতরের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, সেই বিষয়টিও জেনে রাখা জরুরি।

প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে ১৯৬৮ সালে ভারতে চালু ছিল Gold Control Act. এই আইনের অধীনেই বলা ছিল যে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অবধি সোনা নিজের কাছে রাখতে পারবেন ভারতের নাগরিকরা। তবে সেই আইনটি দীর্ঘদিন চলার পর ১৯৯০ সালে বাতিল হয়ে যায়। এই বছর সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় যে সোনা রাখার ক্ষেত্রে সেরকম কোনো পরিমান বেঁধে দেওয়া হবেনা। এর ফলে ভারতীয় নাগরিকদের সোনার গয়নার মতো সাজপোশাকের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছিল সরকার।

এরপর ১৯৯৪ সালে Central Board of Direct Taxes বা CBDT সোনার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল। আর এই নির্দেশিকায় সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে যদি কোনো বিবাহিতা মহিলার কাছে সর্বাধিক ৫০০ গ্রাম অবধি সোনা পাওয়া যায়, তাহলে তা বাজেয়াপ্ত করা যাবেনা। এছাড়াও অবিবাহিতা মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সর্বোচ্চ সীমা ছিল ২৫০ গ্রাম। যেখানে একজন পুরুষ সর্বোচ্চ ১৫০ গ্রাম সোনা নিজের কাছে নির্দ্বিধায় রাখতে পারবেন।

whatsapp logo
Debaprasad Mukherjee
Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা