Income Tax Notice: সঠিকভাবে আয়কর জমা করলেও এই ভুলগুলির জন্য নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর
ভারতে নতুন আর্থিক বছর শুরু হয়েছে ১লা এপ্রিল থেকেই। আর নতুন অর্থবর্ষ মানেই নতুনভাবে আয়কর ফাইল করার সময় আসন্ন। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩১ শে জুলাই অবধি। এই নির্দিষ্ট তারিখের আগেই করযোগ্য ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়কর দাখিল না করা হলে করযোগ্য সেই ব্যক্তিকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। আর আয়করের নোটিসের ভয় কমবেশি সকলেই খেয়ে থাকেন। তবে এই বিষয়ে জেনে রাখা উচিত যে আয়কর দাখিল করলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি করলে নোটিস আসে আয়কর দফতর থেকে। তাই আয়কর রিটার্ন ফাইল করার আগে বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা দরকার।
প্রথমত, আয়কর রিটার্নে সম্পদ বা আয়ের ভুল বর্ণনা দিলে নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর। কারণ, আয়কর দফতর যতটা সম্ভব কালো টাকা দমনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এবার কোনো করদাতা যদি তার সমস্ত আয় এবং সম্পদের তথ্য ভুল দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তিনি আয়কর দফতরের নোটিস পেতে পারেন। এছাড়াও করদাতার নাম, ঠিকানা এবং PAN-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জপদী ভুল দেওয়া হয়, তাহলেও নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। এর পাশাপাশি করদাতার প্রকৃত আয় এবং ঘোষিত আয় প্রকাশে অমিল পাওয়া গেলেও নন-রিপোর্ট করার জন্য একটি নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর।
এবার আকস্মিকভাবে আয়ের ব্যাপক হ্রাস বা আয়ের মাত্রা ব্যাপক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগ সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবে। তাই কোনো নাগরিক যদি খুব বেশি মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি, সম্পদ বা অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করে থাকেন বা তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যদি খুব বেশি মূল্যের লেনদেন হয়ে থাকে, তাহলে আয়কর বিভাগ এটি জানতে আগ্রহী হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে সেই করদাতালে একটি নোটিশ পাঠাতে পারে। এছাড়াও ITR ফাইল করার সময় TDS ফর্ম 26AS এবং 16 বা 16A-এ তালিকাভুক্ত TDS-এর সাথে মিলে যাওয়া উচিত। কোনো অমিল পাওয়া গেলে ধারা 143(1) এর অধীনে নোটিশ জারি করা হবে। এছাড়াও আয়কর দফতর কোনো করদাতার দায়ের করা ITR যাচাই করে থাকে, তাহলে ধারা 143(2) এর অধীনে একটি নোটিশ পাঠানো হয়।
এসবের পাশাপাশি যদি ITR ফাইল করার সময়সীমা ঘনিয়ে আসে এবং কোনো নাগরিক যদি এখনও তা না করেন, তাহলে আয়কর আইনের ধারা 142(1)(i) এর অধীনে, তার রিটার্নটি প্রদান করা বাধ্যতামূলক, এতে ব্যর্থ হলে একটি নোটিশ জারি করা যেতে পারে। এছাড়াও যেকোনো উৎস থেকে আচমকা অর্জিত সুদের আয়কর না দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ পেতে পারেন নাগরিকরা। পাশাপাশি, আয়কর আইনের 147 ধারার অধীনে করদাতাকে নোটিশ জারি করতে পারে।