২০০২ সাল। বক্স অফিসে একটি সিনেমা এল, নাম ‘কোম্পানি’। খাল্লাস গানে দুর্দান্ত একটি আইটেম ডান্সার নজর কাড়লেন দর্শকের। এরপর কৃষ্ণা কটেজ ছবিতেও অভিনেত্রী হিসেবে ছাপ রেখেছেন তিনি। নাম ইশা কোপিকর। অবশ্য ‘খাল্লাস গার্ল’ নামেই পরিচিত তিনি। বেশ কিছুদিন হলো অভিনয় জগতে খোঁজ ছিল না অভিনেত্রীর। শেষমেষ আবার খোঁজ মিলল তাঁর। ইশা জানিয়েছেন, “আমি কখনই দূরে ছিলাম না, অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলাম। প্রথম ৬ মাস কাজ করেছি। রিয়ানা-র জন্মের তিন মাস পরে আবারও সেটে ফিরেছি।”
ইশার থেকেই জানা গেল, তিনি হিন্দি ছবির জগতে না থাকলেও ওয়েব সিরিজে অনবরত কাজ করেছেন। কিন্তু ২০২৯ সালের মহামারীর কারণে একটু আটকে পড়েছিলেন। তাঁর সব কাজ এই বছরেই রিলিজ হবে। নতুন করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আমূল পরিবর্তন নিয়েও মুখ খুললেন অভিনেত্রী। “পরিবর্তন শুরু হয়েছে গত কয়েক বছরেই। অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের কাছে অভিনয়ের সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়াও এখন সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি কিন্তু খারাপ কিছু একদমই নয়।”
হিন্দি সিনেমার জগৎ থেকে হঠাৎ কেন হারিয়ে গেলেন জনপ্রিয় খাল্লাস গার্ল?
“আগে কাজ পেতে হলে অভিনেত্রীদের তাদের নায়ক এবং পরিচালকের অহংবোধের মধ্যেও টিকে থাকতে হতো। একজন নামকরা প্রযোজক আমাকে একবার বলেছিলেন, তোমাকে নায়কের মনোমত হয়ে থাকতে হবে। কম্প্রোমাইজ করতে হবে।” ইশা, যিনি ডাক্তারদের পরিবার থেকে এসেছেন, তিনি কলেজে পড়ার সময় পকেটের অর্থের জন্য মডেলিং শুরু করেছিলেন। পরে, তিনি একটি দক্ষিণ সিনেমার সাথে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিটিতে আসেন এবং বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর পক্ষে এমনটা করা অসম্ভবপর হয়ে উঠেছিল।
অভিনেত্রীর ভাষায়, “আমি সবসময় একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করেছি এবং এখনও পর্যন্ত, মানুষ জানেন আমি কেমন। আমি কিছু করতে ইচ্ছুক না হলে কেউ আমাকে জোর করাতে পারবে না। আর প্রতিভা ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে আমি অভিনয় জগতের অংশ হতে সম্পূর্ণরূপে নারাজ। আমি আপোষ করিনি বলে ছবিতে বড় অংশে কাজের প্রতিশ্রুতি পেয়েও ছোট চরিত্রে স্থির থাকতে হয়েছিল। তবে আমি মনেপ্রাণে একজন যোদ্ধা। সে রিল লাইফে হোক বা রিয়েল লাইফে। শেষ অবধি লড়ে যাবো। আমি জানি আমি জিতবই।”