সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তী কি সহজেই বলিউডে বা বাংলা চলচ্চিত্রে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন? বর্তমান পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক দল পরিবর্তনকে কেউ কেউ ভালো চোখে দেখছে এবং কেউ কেউ বাঁকা নজরেও দেখছেন। সূত্রের খবর, একটা সময় তিনি নকশাল করতেন, তারপর তৃণমূল, এবারে বিজেপির পতাকা তার হাতে। এতটা পরিবর্তন কেন? যেই মানুষ এতটা পরিবর্তন হতে পারে তিনি তার কেরিয়ার জীবনে কিভাবে সামলেছেন সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি?
প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মধ্যেই একটি নাম উঠে আসছে, আর তিনি হলেন জিতেন্দ্র। যখন বাংলার এই ছেলের হাতে কোনো টাকা ছিল না, কাজ খুঁজতেন পরিচালকের ঘরে ঘরে গিয়ে তখন হিন্দির সুপারস্টার জিতেন্দ্র একবার একটি উক্তি করেছিলেন মিঠুন সম্পর্কে, যেই উক্তি আজও মনে রেখেছেন বাংলার মহাগুরু। যদিও সেই উক্তির উত্তর তিনি কাজের মধ্যে দিয়ে দিয়েছিলেন।
কি সেই উক্তি? জিতেন্দ্র বলেছিলেন “মিঠুন সফল হলে আমি অভিনয় ছেড়ে দেব।” পরিচালকের ঘরে মিঠুন কোনো উত্তর দেননি, বরং মিঠুন চক্রবর্তী তিন বার জাতীয় পুরস্কার জয়ী হয়ে বাজিমাত করেছিলেন। শুরুটা হয়েছিল ‘মৃগয়া’ দিয়ে। এরপর তিনি জাতীয় পুরস্কার পান ‘তাহাদের কথা’ এবং ‘স্বামী বিবেকানন্দ’-র জন্য।
১৯৫০ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের বরিশালে জন্ম হয় মহাগুরুর। পরবর্তীকালে কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজ থেকে রসায়ন নিয়ে স্নাতক হন তিনি। এরপর তিনি যোগ দেন পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউটে। অবশ্য, অভিনয় জগতে পা রাখার আগে মিঠুন বিশেষ ট্রেনিং নেন মার্শাল আর্টসে। তিনি এক্ষেত্রে ব্ল্যাকবেল্ট অর্জন করেন।
ফিরে যাই জিতেন্দ্র প্রসঙ্গে। জিতেন্দ্র যেমন স্টাইলিশ ছিলেন তেমনই জানতেন নাচ ও অভিনয়। ঠিক একই ব্যাপারে পারদর্শী ছিলেন মিঠুন নিজেও। ১৯৮২ সালে ‘ডিস্কো ডান্সার’ সিনেমায় অভিনয় করার সময় দর্শকদের মধ্যে মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন মিঠুন। জিতেন্দ্রকে রীতিমত টেক্কা দিতেন মিঠুন। প্রসঙ্গত, জিতেন্দ্রর ৫ দশকের কেরিয়ারে মুক্তি পেয়েছিল ২২৪টি ছবি। পাশাপাশি, মিঠুনের ৪ দশকেরও কম সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৩১৫টি ছবি মুক্তি পেয়েছে।
শুধু অভিনয় নয়,পুরস্কারের দিক থেকেও টেক্কা দিয়েছিলেন মিঠুন জিতেন্দ্রকে। অভিনেতা জিতেন্দ্র বহু পুরস্কার পেয়েছেন যেমন সত্য ঠিক তেমনই মিঠুন তিন বার জাতীয় পুরস্কার জয়ী হয়ে বাজিমাত করেছেন। শুধু বাংলা বা হিন্দি ছবি নয়। পাঞ্জাবী, ওড়িয়া, ভোজপুরি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।