সত্যজিৎ রায় বাঙালির আবেগ। সেই সত্যজিৎ রায়, পথের পাঁচালীকে নিয়ে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরেছিলেন পরিচালক অনীক দত্ত। তাঁর ছবি ‘অপরাজিত’তে অভিনেতা জিতু কামালকে (Jeetu Kamal) দেখে চমকে গিয়েছিলেন দর্শকরা। ছবি মুক্তির আগেই তাঁর লুকের ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। যেন হুবহু সত্যজিৎ রায়। এই একটি ছবিই জিতুর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
অপরাজিতর পর আরো ছবিতে অভিনয় করেছেন জিতু। কিন্তু দর্শকদের কাছে এখনো সত্যজিৎ হয়ে রয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর নিজের কতটা সময় লেগেছিল চরিত্রটি থেকে বেরোতে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, কোনো চরিত্র থেকে বেরোলেই বিশেষ সময় লাগে না তাঁর। যতক্ষণ ছবির শুটিং চলছে ওই চরিত্রে থাকেন তিনি। কিন্তু শুটিং শেষ হতেই ওই চরিত্র থেকে বেরোতে খুব বেশি সময় লাগে না তাঁর। ওই ছবির পর জিতুকে নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, তাঁর নাকি অহংকার বেড়েছে। তবে অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, এই সব ট্রোল, সমালোচনা তাঁকে উত্তেজিত করতে পারে না। কানেই তোলেন না তিনি। তাছাড়া অভিনেতা মজা করে বলেন, তাঁর নাক এমনিই উঁচু। আর নাক উঁচু করতে হবে না তাঁকে।
একদিকে কেরিয়ারে যেমন উন্নতি হয়েছে, অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনে বড় ধাক্কা খেয়েছেন জিতু। ভেঙে গিয়েছে নবনীতা দাসের সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক। তাঁর কথায়, তিনি নিজে খুব একটা ম্যাচিওর নন। তাতেই কি সম্পর্কে প্রভাব পড়েছিল? জিতু বলেন, এতে কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে দুটি মানুষের ভাবনা, চিন্তাধারা খুব আলাদা হয়। তাঁদের সম্পর্ক খুব বিষিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। তবে তাঁদের মধ্যে বন্ধুসুলভ আচরণ রয়েছে এখনো।
বিচ্ছেদের পরেও কখনো পুরনো কথা আর ভাবেননি বলে জানান জিতু। তিনি ভেবেছিলেন, যা হয়ে গিয়েছে হয়ে গিয়েছে। এবার সামনের দিকে তাকানোই ভালো। তিনি আরো বলেন, সম্পর্ক কখনো ঠিক হয় না। সম্পর্ক ভালো হয়, খারাপ হয়, কিন্তু কখনো ঠিক হয় না। নবনীতার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ও ভালো আছে ভালো থাকুক। ভালো কাজ করছে। আমিও কাজের মধ্যে থাকতে চাই’। এদিন শ্রাবন্তীকে নিয়ে তিনি বলেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে মূলত কাজ নিয়েই তাঁর কথা হত। কিন্তু বিচ্ছেদের পর একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই শ্রাবন্তীর সঙ্গে তাঁর নাম জড়ায়। তবে ধোঁয়াশা শ্রাবন্তীই পরিস্কার করে দিয়েছিলেন। জিতুর কথায় অবশ্য আবারো প্রেমে পড়তে কোনো সমস্যা নেই তাঁর। তবে এখনো প্রেম আসেনি তাঁর জীবনে।
View this post on Instagram