ঔষধি গাছে ঘেরা ঝাড়গ্রামে কনক দুর্গা মন্দির আজ এক রহস্যময় পীঠস্থান
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে এক জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে কনক দূর্গা মন্দির। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ ঝাড়গ্রাম। এখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী। এই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে কনক দূর্গা মন্দির।
দেবী এখানে ঘোড়ার উপর বসে আছেন। দেবীর এখানে চারটি হাত। অষ্ট ধাতুর তৈরি দূর্গা মূর্তি। শহুরে কোলাহল থেকে বেরিয়ে গিয়ে আড়ম্ভরহীন প্রাচীন রীতিতে এখানে দেবীদূর্গা আজও পূজিত হন। ৪০০ বছরের পুরনো এই দূর্গা মন্দিরের ইতিহাস।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে জানা যায়, চিল্কিগড় এর সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহ এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ঈশ্বরের স্বপ্নাদেশ পেয়ে স্ত্রীর হাতের কাঁকন দিয়ে রাজা এখানকার মূর্তি তৈরি করেন। তবে অতীতে নাকি এখানে নরবলি হতো কিন্তু দেবীর আদেশে তা চিরকালের জন্য বন্ধ করে দিতে হয়। তবে এখন নরবলি না, পাঁঠা বলি হয়।
দূর্গাপূজার সময় এই অরণ্যের মধ্যে ধুমধাম করে পুজো হয় দেবী দূর্গার। তবে এর মধ্যে দুবার চুরি হয়ে যায় মায়ের মূর্তি। পরে আবার বানানো হয় অষ্টধাতুর দেবী মূর্তি। মন্দিরের আশেপাশে একটি নির্দিষ্ট জায়গা জুড়ে রয়েছে ভেষজ উদ্ভিদের উদ্যান। পুজোর সময় ধুমধাম করে সেজে ওঠে ডুলুং নদীর তীর বরাবর কনক-দূর্গা মন্দির এর চত্বর।