কথায় বলে, কুসন্তান যদি বা হয়, কুমাতা কখনো নয়। সন্তান আপন হোক বা দত্তক, মায়ের কাছে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। কিন্তু সমাজের সব মানুষ সমান হয় না। কিছু মানুষ সন্তান দত্তক নেওয়াকে ভালো চোখে দেখেন না। যারা সন্তান দত্তক নেন অনেক সময়ই সমাজের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাদের। এমনকি তারকারাও বাদ পড়েন না এই নেতিবাচকতা থেকে। সম্প্রতি সঙ্গীতশিল্পী জোজো মুখোপাধ্যায়ের (Jojo Mukherjee) সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই সমাজের কদর্য রূপ।
সম্প্রতি জোজোর একটি ভিডিও নিয়ে শোরগোল পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সাজতে সাজতে ভিডিও বানিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর চার বছরের ছোট্ট ছেলে আদি। মায়ের মেকআপের জিনিস হাতে নিয়ে আদি প্রশ্ন করে, এগুলো কী? জোজো উত্তরে বলেন, এগুলো মেকআপ। ওই ভিডিওতেই এক মহিলা জোজো কে উদ্দেশ্য করে কমেন্ট করেন, ‘ভালো বাড়ির ছেলে দত্তক নিতে পারতে, মানায়নি’।
এই মন্তব্য চোখে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জোজো। একটি লাইভ ভিডিও করে তিনি বলেন, ‘আমি ভালো বাড়ির ছেলে দত্তক নিয়েছি নাকি খারাপ বাড়ির ছেলে নিয়েছি, তাতে আপনার কী? আপনি খাওয়াচ্ছেন? পরাচ্ছেন? তাহলে আপনি বলার কে?’ মন্তব্যকারীর উদ্দেশে জোজো বলেন, তিনি জানেন না ওঁর সন্তান আছে কিনা। এত বড় মহিলা হয়ে ওঁর জ্ঞান থাকা উচিত যে দত্তক নেওয়ার সময় কেউ সন্তানকে বেছে নিতে পারে না। বাচ্চাকে যদি আমির খানের মতো দেখতে না হয় তাহলে বাজারে বেচে দেবেন? স্বামী হৃতিক রোশন না হলে চুমু খাবেন না? জোজো মন্তব্য করেন, ‘আপনাদের মতো অসুস্থ মানসিকতার মহিলাদের জন্য বাকি মায়েরা বদনাম হন’।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জোজো এ বিষয়ে বলেন, তিনি আইনের সাহায্য নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। তবে এর আগে যেহেতু এমন কোনো ঘটনার সম্মুখীন তিনি হননি, তাই আগে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে জেনে নিচ্ছেন। পরিবারের সঙ্গেও কথা বলে নিচ্ছেন। পাশাপাশি এটি সাইবার ক্রাইমের আওতায় পড়ে কিনা সেটাও তিনি জেনে নিচ্ছেন।
View this post on Instagram