বাতিল হয়েছিলেন ইন্ডিয়ান আইডলে, কয়েক বছর পর সেই মঞ্চেই অতিথি জুবিন নটিয়াল
জীবনে প্রতিটা পদক্ষেপে যে সাফল্য আসবেই এমনটা বলা যায় না। আর যারা প্রতিটা পদক্ষেপে ঈশ্বরের কৃপায় সফল হয়ে যান, তারা যে তাদের মনবাঞ্ছা পুরন করতে পারবেন এমনটাও হয় না। অনেক সময় দেখা গেছে ক্লাসে প্রথম হওয়া ছেলেটি সেই ভাবে উন্নতি করতে পারেনি, কিন্তু যে ছেলেটা পিছন বেঞ্চে বসে পড়ার নাম করে খাতায় আঁকিবুকি কাটে সেই হয়তো এখন জীবনে একজন সফল ব্যক্তিত্ব।
অনেক মহাপুরুষদের কথাতেও আপনি হয়তো শুনে থাকবেন সবসময় সফলতা আসবেই এমনটা নয়, আর সফলতায় যে ওপরে ওঠার একমাত্র চাবিকাঠি এমনটাও নয় এক্ষেত্রে মুনি-ঋষিরা বারবারই বলেছেন, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন ব্যর্থতা কেউ যদি ব্যর্থ না হয় তাহলে তার মধ্যে সেই জিনিসটা করার জেদ থাকেনা। বরঞ্চ বারবার সাফল্য হতে হতে তার মধ্যে কোথাও যেন একটা আত্ম-অহংকার তৈরী হয়ে যায় আর সেই অহংকার পতনের কারণ।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রায় ১০ বছর আগে জুবিন নটিয়াল বর্তমানে যার গানের গলা নতুন প্রজন্মের মধ্যে অদ্ভুত একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সেই গানের গলা কি একদিন রিজেক্ট করে দিয়েছিলেন সং সনু নিগাম। শুধু তাই নয়, বিচারকের মধ্যে ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি, শ্রেয়া ঘোষাল। শ্রেয়া ঘোষাল জুবিনের গান শুনিয়ে যদিও তাকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিলেন তবে সনু নিগাম একেবারেই সাফ না করে দিলেন।
তবে জনসাধারণের মত অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত পরের রাউন্ডে যেতে পেরেছিলেন জুবিন। এ ক্ষেত্রে অনেকেই সনু নিগমের হয়তো সমালোচনা করবেন তবে অনেকেই আবার সনু নিগমের এই নাকচ করাকে প্রশংসা করেছেন তাদের বক্তব্য এইভাবে শুনুন নাকচ না করলে আজকে হয়তো জুবিন এই জায়গায় পৌঁছতে পারতেন না। তারপর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি জুবিনকে নিজের গলার জন্য পৌঁছে গেছেন প্রত্যেকটা মানুষের মনের মনিকোঠায়।