whatsapp channel

Jyotipriyo Mallick: হাজতবাস করে শরীরে রোগ বাঁধলো জ্যোতিপ্রিয়র! মুখবন্ধ খামে ‘বালু’র স্বাস্থ্য রিপোর্ট জমা দিলো ED

ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাকে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রথমে মন্ত্রীর সল্টলেকের একজোড়া বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান ইডি অফিসাররা। বাড়িতে বসিয়ে…

Debaprasad Mukherjee

Debaprasad Mukherjee

ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাকে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রথমে মন্ত্রীর সল্টলেকের একজোড়া বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান ইডি অফিসাররা। বাড়িতে বসিয়ে মন্ত্রীকে জেরা করেন ইডির দুঁদে গোয়েন্দারা। টানা ২১ ঘন্টার ম্যারাথন জেরার পর নেওয়া হয় গ্রেপ্তারীর সিদ্ধান্ত। ইডি সূত্রে জানা গেছে, বয়ানে অসঙ্গতি সহ একাধিক অভিযোগে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয় সেদিন।

তারপই থেকেই আদালত, ইডি হেফাজত এবং হাসপাতালে গিয়েই দিন কাটছে মন্ত্রীর। আদালতে জামিন না মেলায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে একাধিকবার হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। ইতিমধ্যে সে কথা মন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। গত কাল তার সেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে পুলিশের জেলের গাড়িতে নয়, বরং আদালত থেকে সুমো গাড়িতে করেই আনা হয় মন্ত্রীকে। সেখান থেকে বেরোনোর সময়েই তার মুখে শোনা যায় যে তিনি ভালো নেই, তার শরীর ভীষণই খারাপ।

তবে এদিন আদালতে জামিনের আবেদন করেননি। সেই কারণে আদালত তাকে আগামী ১৬ নভেম্বর অবধি জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও বারবার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়টি সামনে এসেছে। এদিন আদালতে তার স্বাস্থ্যের রিপোর্ট বন্ধ লহামে ভরে জমা দেয় ইডি। আগের দিনেই কমান্ড হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের বিষয়ে তথ্য জমা দেওয়ার জন্য তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দেয় আদালত। তবে এদিন আদালতের নির্দেশ শোনার পর জ্যোতিপ্রিয় বলেন, আদালত থেকে মুক্তি পেয়ে জেলে যাচ্ছি।

ইডি সূত্রে খবর যে রেশন দুর্নীতি ঢাকা দেওয়ার জন্য তিনটি নতুন কোম্পানি খোলা হয়েছিল। রেশন দুর্নীতির সমস্ত টাকা সেই তিন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে কালো টাকাকে সাদা করার দারুন পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল বলে অনুমান ইডির গোয়েন্দাদের। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশেই নাকি বাকিবুর রহমান অন্য তিনজনের নামে এই তিন কোম্পানি খোলেন। শ্রীহনুমান রিয়েল কম প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড নামের এই তিন কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করার কাজ চালাতেন বাকিবুর রহমান, যার চেয়ারম্যান ছিলেন মন্ত্রীর স্ত্রী ও মেয়ে দুজন।

whatsapp logo
Debaprasad Mukherjee
Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা