কাজলকে খাটিয়ায় ফেলে নিয়ন্ত্রণ হারালেন খেসারি লাল যাদব, দরজা খুলে দেখবেন না
বর্তমানে ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে উত্তর ভারতের দর্শকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। ষাটের দশকে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ (Rajendra Prasad)-এর উদ্যোগে শুরু হয়েছিল ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যাত্রা। সেই সময় এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট বার্তাবাহী ফিল্ম তৈরি হত। সাধারণতঃ ভোজপুরি ভাষার মিষ্টতা মন জয় করা। বার্তাবাহী ফিল্মগুলি যথেষ্ট হিট হত। কিন্তু আশির দশক থেকে বলিউডের সাথে প্রতিযোগিতা শুরু করে ভোজপুরি ফিল্ম। আত্মপ্রকাশ ঘটে দীনেশ লাল যাদব (Dinesh Lal Yadav Nirahua) ওরফে নিরাহুয়া, আম্রপালি দুবে (Amrapali Dubey), রবি কিষণ (Ravi Kishan)-দের। প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হওয়ার ফলে একরকম বাধ্য হয়েই চিত্রনাট্যকাররা ডুয়াল মিনিং ভাষা প্রয়োগ করতে শুরু করেন কাহিনীতে। ভোজপুরি ফিল্মে নারীও হয়ে উঠতে থাকেন যৌন ক্রীড়নক। এর ফলে দায়ী করা হতে থাকে ভোজপুরি ফিল্মের নায়ক-নায়িকাদের। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, তাঁদের হাতে কিছুই ছিল না। সব সিদ্ধান্ত নিতেন প্রযোজক-পরিচালকদের একাংশ ।
কিন্তু কিছুদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে বর্তমান প্রজন্মের ভোজপুরি তারকা খেসারিলাল যাদব (Kheshari lal Yadav) জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। তৈরি হচ্ছে এই ইন্ডাস্ট্রির প্রথম প্যান ইন্ডিয়ান ফিল্ম ‘হর হর গঙ্গে’। ফলে ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও ক্রমশ আধুনিক হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে এই আঞ্চলিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। খেসারিলাল বরাবর গড়পড়তা ভোজপুরি তারকাদের তুলনায় যথেষ্ট আধুনিক। পছন্দ করেন নিয়মিত জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট করতে। কালার্স চ্যানেলের বিখ্যাত রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর ঘরে তিনিই প্রথম ভোজপুরি তারকা যিনি সমগ্র ভারতবর্ষে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। পাশাপাশি ভোজপুরি তারকাদের মধ্যে খেসারিলালই সবচেয়ে বেশি দিন বিগ বসের ঘরে ছিলেন।
খেসারিলালের সাথে কাজল রাঘওয়ানি (Kajal Raghwani)-র জুটি ভোজপুরি দর্শকদের কাছে যথেষ্ট প্রিয়। এই জুটির হিট ফিল্মগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভোজপুরি ফিল্ম ‘কুলি নং 1’। ফিল্মের গান ‘আ ধনিয়া’ যথেষ্ট জনপ্রিয়। গানটি গেয়েছেন খেসারিলাল ও প্রিয়াঙ্কা সিং (Priyanka Singh)। গানের শুরুতে দেখা যায়, আগুন পোহাচ্ছেন কাজল। তাঁর পরনে শিফন শাড়ি। খেসারিলাল তাঁর সাথে অন্তরঙ্গ হতে চান। পাড়ার লোকদের সামনে উদ্দাম নাচ শুরু করেন তাঁরা। বুক থেকে আঁচল সরিয়ে দেন কাজল। তা দেখে বর্ষীয়ান পুরুষরা লজ্জায় ভিতরে চলে গেলেও মহিলারা উপভোগ করতে থাকেন। তার মাঝেই ঘুমের ঘোরে এক ব্যক্তি হাঁটতে হাঁটতে চলে আসেন খেসারিলাল ও কাজলের মাঝে।
খেসারিলাল তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেন। একসময় গুরুজনদের দেখে মাথায় ঘোমটা দিয়ে সম্মান জানান কাজল। খেসারিলালও দূর থেকে তাঁদের প্রণাম করেন। একসময় পাল্টে যায় নায়ক-নায়িকার পোশাক। কিন্তু কাজলকে খাটিয়ায় ফেলে রাগ করে চলে যান খেসারিলাল। প্রকৃতপক্ষে, এই গানটি অন্য ভোজপুরি গানের মতো যৌনতাপূর্ণ নয়। বরং কমেডি স্বাদের। এই কারণে এখনও অবধি গানটির ভিউ অতিক্রম করেছে ছাপ্পান্ন লক্ষ।