Video: স্টেজে উঠেই পরিষ্কার বাংলা ভাষায় রবীন্দ্র সংগীত গাইলেন কেরলের কন্যা, শুনেই মুগ্ধ সকলে

নতুন প্রজন্মের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া হল একটি হাতিয়ার। যার মাধ্যমে নানান রকম প্রতিভার সকলের কাছে তুলে ধরা যায়। যদিও পুরনো প্রজন্মের মানুষদের ধারণা এই মুঠোফোনই হল নতুন প্রজন্মের উচ্ছন্নে কারণ, কিন্তু আপনি যদি একটু ভালোভাবে দেখেন, তাহলে মুঠোফোনের সাহায্যেও কিন্তু বাড়িতে বসে সৎপথে রোজগার করা যায়। শুধু তাই নয়, প্রতিভাকেও প্রকাশ করতে পারেন খুব সহজেই। বাড়ির গৃহবধুরা এই ভাবেই নিজেদের প্রতিভাকে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কত কিছুই না ভাইরাল হয়, আগেকার দিনে এই ধরনের স্টেজ প্রোগ্রামগুলো যখন হতো তার কিন্তু অনেক পরে মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছতো কোন টেলিভিশনের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো সামনাসামনি দেখার পরেও কারো যদি ইচ্ছা হয়, বাড়িতে বসে একটু আয়েশ করে দেখবেন, তাহলেও কিন্তু সহজে তা youtube এর মাধ্যমে দেখে নিতে পারেন। বর্তমানে অন্যান্য গানের সঙ্গে ও এই ধরনের হারিয়ানভি গানের কিন্তু বেশ চাহিদা আছে, সেই গানের তালে তালে নাচতে কিন্তু ওস্তাদ এইখানে নৃত্যশিল্পীরা।

সম্প্রতি অসাধারণ একটি গানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া বাইরাল হয়েছে যদিও গানটি অসাধারণ গেয়েছেন কেরলের এক কন্যা। গানের জন্য বেছে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের ভীষণ পরিচিত একটি গান, ‘যদি তারে নাই চিনি গো সেকি’, আর শুধুমাত্র এই বাংলা গানটিও নয়, তার সঙ্গে একেবারে সুন্দর ভাবে গাইলেন ‘অভিমান’ হিন্দি সিনেমার অমিতাভ বচ্চন, জয়া ভাদুড়ির গাওয়া গান মজরুহ সুলতানপুরীর লেখা ‘তেরে মেরে মিলন কি ইয়ে রহনা’।

দেবনস্রিয়া র প্রচেষ্টা দেখে রীতিমতন সকলে অবাক হয়ে গেছেন, বিশেষ করে যারা জাজমেন্ট করছেন তারা তো দেখে অবাক, কি করে এতটুকু মেয়ে আবার বাংলা ভাষা পুরো না জেনেই এত সুন্দর রবীন্দ্র সংগীত গাইলো। ক্যাপ্টেন দানিশের এই পার্টিসিপ্যান্ট ‘দেবী’র মাতৃভাষা মালায়ালি। কেরালার কোঝিকোটের এই কন্যার গান শুনে মুগ্ধ নেহা কক্কর। গান শুনতে শুনতে নেহার চোখ রীতিমতন বন্ধ হয়ে আসছে আবেশে। গান শুনে কমেন্টে তিনি অনেক আশীর্বাদ করেছেন প্রশংসা করেছে দেবীর।