Abhishek-Leena: লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে বারবার এই অনুরোধটি করেছিলেন অভিষেক
চলে গিয়েছেন অভিষেক চ্যাটার্জী (Abhishek Chatterjee)। কিন্তু এভাবে তাঁর চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারছেন না ইন্ডাস্ট্রির কূশীলবরা। একটি সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেছিলেন, তিনি চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)-র কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কারণ লীনার মাধ্যমেই তিনি আবারও ফিরে এসেছিলেন ছোট পর্দায়। ‘খড়কুটো’-য় তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করছিলেন দর্শকরা। হঠাৎই সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেল। এভাবে অভিষেকের চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারছেন না লীনা।
View this post on Instagram
বহুদিন বড় পর্দায় দেখা যায়নি অভিষেককে। তবু লীনা মনে করেন, অভিষেক বাংলা সিনেমাকে যা দিয়েছেন তা অনস্বীকার্য। দর্শক তাঁকে চিরকাল মনে রাখবেন। অভিষেক সমৃদ্ধ করেছিলেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে। লীনার লেখা সিরিয়ালের মাধ্যমে অভিষেক নতুন ভাবে ফিরে এসেছিলেন টেলিভিশনের পর্দায়। একসঙ্গে নয়টি সিরিয়ালে কাজ করেছেন অভিষেক ও লীনা। অভিষেক বারবার লীনাকে অনুরোধ করতেন, তাঁর সিরিয়ালে অভিষেকের চরিত্রের মৃত্যু না ঘটাতে। তাঁকে না মেরে ফেলতে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে অকালে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন সেই মানুষটিই। ভালো অভিনেতার পাশাপাশি হাসিখুশি, সর্বোপরি একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন অভিষেক। সেটে সকলকে মাতিয়ে রাখতেন। কিন্তু তাঁর জীবনের চিত্রনাট্য কেন এরকম হয়ে গেল?
View this post on Instagram
উত্তর নেই লীনার কাছে। ‘খড়কুটো’-য় গুনগুনের বাবা ডাক্তারবাবুর চরিত্রটি অভিষেককে ভেবেই তৈরি করেছিলেন লীনা। অভিষেক প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চরিত্রে। ‘মোহর’-এও নায়কের বাবার মজার চরিত্রটিতে অভিষেকের অভিনয় ছিল অনবদ্য। লীনা জানেন না, অভিষেকের শূন্যস্থান কিভাবে পূরণ হবে! এখনও পারছেন না কোনো সিদ্ধান্ত নিতে। মঙ্গলবারেও ‘খড়কুটো’-র শুটিং করেছিলেন অভিষেক।
View this post on Instagram
লীনা জানালেন, দীর্ঘদিন ধরেই পায়ের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবারেও অভিষেকের শরীর ভালো ছিল না। ঠিক মতো শুটিং করতে পারছিলেন না অসুস্থতার জন্য। বুধবারেও শুটিং ফ্লোরে গিয়েছিলেন। কিন্তু জীবনের চিত্রনাট্যে সমাপতন হল। লীনা ভাবতে পারছেন না, ভাবতে চাইছেন না, ফিরবেন না অভিষেক। তিনি চলে গিয়েছেন সব চিত্রনাট্যের ওপারে।
View this post on Instagram