‘ছেলেধরা হয় শুনেছি, পাখিধরা এই প্রথম’…..’মধু কে পেয়ে আজ দাদা গর্ভবতী!!!’…..’এভারেস্টের পাশে পিরামিড ওহ লাভলি’…..’আপনার মত একজন সুচারিত্রিক আদর্শবান বিচক্ষণ বিধায়ক প্রতিটা ঘরে ঘরে জন্মাক’….’ফ্যান ভাত খাওয়ার বয়সে বিরিয়ানি খাচ্ছ কাকা।।’……. এগুলো সবই সাধারণ মানুষের মনের কথা। এই সমস্ত ট্রোলিং এর মুখ্য মানুষ দুই জন, এক- মদন দা অর্থাৎ মদন মিত্র (Madan Mitra), অন্যজন – ধারাবাহিকের চিরপরিচিত মুখ ‘পাখি’ ওরফে মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar), আর পিছনে ত্রিশূল হাতে মা দুগ্গা।
পুজোর মুখে কোনো এক মণ্ডপে দেখা হয় মদন-মধুমিতার। মদন দার পরনে ছিল পাঞ্জাবি, মধুমিতার পরনে একটা গোলাপী ক্রপ টপ আর জিন্স।
মদন মিত্র নিয়ে টুকিটাকি-» পুজোর মুখে মদন দা তার অনুরাগীদের দিয়েছেন নতুন গানের সুর, কথা। এতদিন ‘ওহ লাভলি’-দিয়ে চমক দিয়েছিলেন, এরপর পুজোয় উপহার হিসেবে দেন ‘মা এসেছে’ অ্যালবাম। পুজোর মধ্যে নতুন গানের অ্যালবাম নিয়ে স্বমহিমায় হাজির ছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এছাড়াও, বিজয়া দশমীতে ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র উপস্থিত থাকেন বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসবের মণ্ডপে। এদিন তিনি বলেন যে এখনকার সিঁদুর যার কপালে ওঠে তার সিঁদুর অক্ষয় হয়। নাহ্, মদন মিত্রের গল্প এখানেই শেষ নয়, পুজোর সময় মন্দারমণিতে গিয়েছেন মদন মিত্র, একা নন, একেবারে সপরিবারে।
মধুমিতা সরকার নিয়ে টুকিটাকি-» দুর্গাপুজোর মধ্যে মধুমিতা এভারলাইটের জুয়েলারি কালেকশন লঞ্চ করেন। পুজোর সময় বাবা মায়ের সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কাটান অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, সেই ২০১১ তে ‘সবিনয় নিবেদন’ ধারাবাহিক দিয়ে পথ চলা শুরু। এরপর একে একে বহু ধারাবাহিকে চুটিয়ে কাজ করেন তিনি। ‘কুসুমদোলা’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’ র মতন একাধিক ধারাবাহিকে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন মধুমিতা। তারপরেই বড় পর্দায় কাজের সুযোগ। সম্প্রতি, ইন্দ্রানী হালদারের সঙ্গে ‘কুলের আচার’ সিনেমায় জমিয়ে কাজ করেন, এছাড়া ওয়েব সিরিজ ‘উত্তরণ’ এও তার কাজ যথেষ্ট প্রশংসা পায়। আগামী দিনে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের জন্য ভাষা শিখছেন মধুমিতা। এবারে পাখি হয়ে দক্ষিণে উড়ে যাবেন অভিনেত্রী।