Cable TV: বন্ধ হবে কেবল কানেকশন! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে রেগে গিয়ে যা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিনোদন হল মানুষের রোজকার জীবনের অন্যতম অঙ্গ। বিনোদন ছাড়া জীবন যেন অতিরিক্ত যান্ত্রিক হয়ে পড়ে। আর যান্ত্রিক জীবনে বেশিদিন প্রাণখোলা ভাবে বাঁচতে পারেনা কেউই। তাই সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার বা থিয়েটার দেখার সময় বা সামর্থ্য না থাকলেও মানুষ বিনোদন খুঁজে নেয় টিভির মধ্যে। টেলিভিশন বিগত শতক থেকেই মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন মোবাইলের রমরমা বাড়লেও টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা কিন্তু একইভাবে রয়ে গেছে। তাই কাজ থেকে ফিরে এখনো অনেকেই টিভির সামনে কাটিয়ে দেন সন্ধ্যের সময়টা।
ভারতে দীর্ঘদিন ধরে অ্যানালগ পদ্ধতিতে কেবল পরিষেবা চালু ছিল। তবে কেন্দ্রের ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের রূপায়ণের সময় কেবল কানেকশনের ক্ষেত্রেও ডিজিটাইজেশন বাধ্যতামূলক করা হয়। কেবল কানেকশনের সঙ্গে জুড়ে যায় সেট-টপ বক্স। এর মাঝে আবার গত বছরের ৩০ নভেম্বর কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছিল। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল যে, মাল্টিসিস্টেম অপারেটররা যে সব স্থানীয় চ্যানেল চালাচ্ছেন সেই চ্যানেলগুলিকে ‘প্লাটফর্ম সার্ভিস’ চ্যানেলের আওতায় আনতে হবে। যে কারণে সেই সমস্ত চ্যানেলের রেজিস্ট্রেশন করানো বাধ্যতামূলক হবে। তা না হলে এইসব চ্যানেল টেলিভিশনে দেখানো যাবেনা।
আর কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার কড়া সমালোচনা হয়েছে বিরোধী মহলে। আর এই বিষয়ে এবার ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “কেন্দ্রের তরফ একটা নির্দেশ এসেছে, সেই নির্দেশে সমস্ত কেবল টিভি বন্ধ করে দিতে হবে? এতগুলো ছেলেমেয়ের কী হবে? অনেক ছোট সাংবাদিকও আছে যারা কেবল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমার সত্যিই খারাপ লাগছে, অল কেবল নেটওয়ার্ক ইজ ক্লোজড। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা যাবে কোথায়? সব বন্ধ করে দিতে হবে?”
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এমন সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন সিটি কেবলের ডিরেক্টর সুরেশ শেঠিয়া। তিনি বলেছেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকাটি হাতে পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী এ ভাবে আমাদের সমর্থন জানানোর জন্য তাঁকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা চালাচ্ছি।” এছাড়াও আইডিয়াল কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তাপস দাস বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে কেবল টিভির উপর বড় পুঁজিপতিদের আগ্রাসন বাড়ছে। সেই আগ্রাসনে মদত রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ জানিয়ে আমাদের মতো কেবল অপারেটর ও এমএসও-দের পাশে দাঁড়ানোয় আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।”