Marriage Tips: শীতেই সেরে ফেলুন বিয়ে! মিলবে এই ৫ সুবিধা
উৎসব শেষেই বাঙালির দোরগোড়ায় এসে হাজির শীতকাল (Winter)। সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের পর অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। আর এই শীতকালকে অনেকেই মনে করেন ভালোবাসার মরশুম। বেশীরভাগ বিয়ের (Marriage) লগ্ন থাকে এই শীতকালেই। অনেকেই বিয়ে করার উপযুক্ত সময় বলতে এই শীতকালকেই বেছে নেন। ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয় বিবাহের এই মরশুম, চলে মোটামুটি ফেব্রুয়ারির শেষ অর্থাৎ বসন্তকালের শুরুর সময় অব্দি। কিন্তু এই শীতে বিয়ে করার মধ্যে রয়েছে একাধিক সুবিধা, যেগুলি আপনি উপভোগ করতে পারবেন একমাত্র এই সময়েই। কি কি সেই সুবিধা?
(১) পরিশ্রমে কমতি: আমাদের এদেশে বিয়ে মানে শুধুই এক পারিবারিক অনুষ্ঠান নয়, বিয়ের অর্থ হল সামাজিক অনুষ্ঠান। তাই একদিকে যেমন থাকে বিয়েবাড়ির নানা অনুষ্ঠানের আয়োজনের ঝক্কি, অন্যদিকে অতিথিদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করতেও করতে হয় হাড়ভাঙা পরিশ্রম। আর শীতকালে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বেশি পরিশ্রম করা যায়। তাই শীতকালে বিয়ের আয়োজন করলে এই পরিশ্রম করতে অনেকটাই সুবিধা হয় সকলেরই।
(২) আরামদায়ক সাজগোজ: আজকাল বিয়ে মানেই নববধূর আধুনিক সাজ। অনেকেই বিয়ের দিন হাজার হাজার টাকা খরচ করে করেন ‘ব্রাইডাল মেকআপ’। বছরের অন্যান্য সময় ঘামের সৃষ্টি হয় মুখে, ফলে গলে যায় মেকআপ। আর এই সমস্যায় শুধুমাত্র বিয়ের কনের নয়, আগত সকল মহিলা অতিথিকেই কমবেশি পড়তে হয়। তবে শীতকালে বিয়েবাড়ি হলে এই মেকআপ ধরে রাখার চিন্তা তেমন থাকেনা কারোই।
(৩) বাহারি ফুলের সাজ: বিয়েবাড়িতে ফুলের সাজের রীতি কমবেশি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যেই রয়েছে। আর শীতকালে গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, ডালিয়া সহ একাধিক বাহারি ফুল ফোটে। তাই শীতে বিয়েটা সারলে একদিকে যেমন পাওয়া যায় টাটকা ফুলের যোগান, অন্যদিকে প্রয়োজন পড়েনা কৃত্রিম প্লাস্টিকের ফুলের।
(৪) আরামদায়ক পেটপুজো: শীতে মানবদেহে হজমের সমস্যা তুলনামূলক কমই হয়। আর বিয়েবাড়ি মানেই নানা রকমের খাবারের সম্ভার। তাই শীতকালে বিয়েবাড়ির আয়োজন করলে, নিমন্ত্রিতরা ‘বেফিকর’ হয়ে তৃপ্তিভরে কব্জি ডুবিয়ে খেতে পারেন।
(৫) স্বল্প বিদ্যুৎ খরচ: শীতকালে বাড়িতে তেমন ফ্যান বা এসি চালানোর প্রয়োজন পড়েনা। তাই এই সময় বিয়ের অনুষ্ঠান হলে বাড়িতে বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই কমে যায়। বিদ্যুতের বিল নিয়ে অতিরিক্ত কোনো ‘টেনশন’ থাকে না এই সময়।