Skin Care Tips: দুধের মতো ফর্সা হবে ত্বক, বাড়িতে বানিয়ে মেখে ফেলুন মসুর ডালের ফেসপ্যাক
পুজোর আগে নিজেকে যদি সুন্দরী করে তুলতে চান? তাহলে অবশ্যই তৈরি করে ফেলুন মসুর ডালের ফেসপ্যাক। আপনি কি জানেন মসুর ডাল আমাদের ত্বকের জন্য ঠিক কতখানি উপকারী, মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। প্রোটিন আমাদের ত্বক ভালো রাখে এবং আমাদের শরীরকেও ভেতর থেকে অনেক পুষ্টি দেয়, তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন মসুর ডাল দিয়ে তৈরি অসাধারণ ফেসপ্যাক।
১) মসুর ডাল, মধুর ফেসপ্যাক – মসুর ডাল ভালো করে বেটে নিতে হবে। এরপর এর মধ্যে দু থেকে তিন টেবিল-চামচ ভালো করে মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে, গলায়, পিঠে, হাতে ভালো করে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দিতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বক হবে একেবারে দুধের মতন পরিষ্কার।
২) মসুর ডাল, দুধ, অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক – মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে পরিমাণ মতন কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে, পিঠে, গলায় খুব ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে, দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর এবং পরিষ্কার হয়ে যাবে। এর মধ্যে থাকা অ্যালোভেরা জেল ত্বককে কখনো শুষ্ক হতে দেবে না, নরম, তুলতুলে করে রাখবে।
৩) মসুর ডাল, বেসনের ফেসপ্যাক – মসুর ডালের সঙ্গে পরিমাণ নতুন বেসন খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রনটিকে সামান্য গোলাপজল দিয়ে দিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে, পিঠে, গলায় খুব ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে।
৪) মসুর ডাল, চালের গুঁড়ো, কফি পাউডার, নারকেল তেলের ফেসপ্যাক – মসুর ডাল, চালের গুঁড়ো, কফি পাউডার, নারকেল তেলকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তার সঙ্গে পরিমাণমত গোলাপ জল খুব ভালো করে মিশিয়ে একটি অসাধারণ ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এটি ব্যবহার করুন, পুজোর আগে দেখবেন, আপনার ত্বক কত সুন্দর পরিষ্কার হয়ে গেছে। যাদের ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ শুষ্ক ও তাদের জন্য ব্যবহার করতে হবে, নারকেল তেল স্ক্রাবার ব্যবহার করার পরও নারকেল তেল কিন্তু আপনার ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখবেন।
৫) মসুর ডাল, হলুদ গুঁড়ো, মধুর ফেসপ্যাক – মসুর ডাল বাটার সঙ্গে সামান্য পরিমাণে হলুদ গুঁড়ো, মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। হলুদ গুঁড়ো হিসাবে অবশ্যই আপনাকে নিতে হবে, কস্তুরী হলুদ, না হলে কিন্তু ত্বক খারাপ হয়ে যেতে পারে। মিশ্রণটি মুখে, গলায়, পিঠে, লাগিয়ে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিতে হবে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।