Bengali SerialHoop Plus

দর্শকদের চাহিদায় আবারো ফিরছে ‘মৌঝর’ জুটি, সুখবর দিলেন অর্পণ

বিভিন্ন চ্যানেলে সিরিয়ালের (Television Serial) কমতি নেই। দর্শকদের মন জয় করতে নিত্য নতুন ধারাবাহিকের ভাবনা ভেবে চলেছেন নির্মাতারা। এর মধ্যে কিছু কিছু সিরিয়াল কম দিনের জন্য এলেও দর্শকদের মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেয়। ধারাবাহিক শেষ হলেও চরিত্রগুলি দাগ কেটে যায় মনে। এমনি একটি সিরিয়াল ছিল ‘মেয়েবেলা’। স্টার জলসার এই সিরিয়ালটি মাত্র কয়েক মাস চলার পরেই আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দর্শকরা মৌ আর ডোডোর জুটিকে অত তাড়াতাড়ি ছাড়তে রাজি ছিলেন না।

মেয়েবেলা সিরিয়ালে নায়ক নায়িকা অর্থাৎ মৌ এবং নির্ঝর ওরফে ডোডোর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল স্বীকৃতি মজুমদার এবং অর্পণ ঘোষালকে। রাতারাতি ডোডো চরিত্রটির বং ক্রাশ হয়ে ওঠার পাশাপাশি এই জুটিটাকেও ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন দর্শকরা। সিরিয়ালটিকে ঘিরে বড়সড় বিতর্ক শুরু হলেও গল্পটি শেষ হয়ে যাক, এমনটা চাননি দর্শকরা। তারপর থেকে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে আবার কবে একসঙ্গে দেখা যাবে স্বীকৃতি এবং অর্পণকে।

মাঝে অবশ্য একটি বিজ্ঞাপনে ফিরেছিল এই জুটি। সেখানেও দর্শকদের প্রভূত ভালোবাসা পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তারপ্য থেকে আর কোনো সিরিয়ালের খবর মেলেনি। এবারে এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন অর্পণ। তিনি আশ্বাস দিয়ে জানান, আবারো ফিরবে মৌ ডোডো জুটি। তবে কোথায় কবে তা বিশদে বলতে চাননি অভিনেতা। তবে দর্শকদের ভালোবাসায় আবারো যে পর্দায় কামব্যাক করতে চলেছে এই জুটি তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রসঙ্গত, স্বীকৃতিকে আগামীতে দেখা যাবে ‘আলোর কোলে’ সিরিয়ালে। এই নতুন ধারাবাহিকের হাত ধরেই চ্যানেল বদলে জি বাংলায় পা রাখছেন তিনি। অলৌকিকের ছোঁয়া থাকা পারিবারিক সম্পর্কের গল্প নিয়ে আসছে আলোর কোলে। গল্প অনুযায়ী, মা মরা মেয়ে পুপুলকে বাড়ির সবাই ভালোবাসলেও বাবাকে সে খুব একটা পছন্দ করে না। ছোটবেলাতেই মা হারা পুপুলকে অবশ্য তার মা পুরোপুরি ছেড়ে যায়নি। মৃত্যু হলেও সন্তান স্নেহ তার আত্মাকে বিলীন হয়ে যেতে দেয়নি। বাড়ির কয়েকজন তার অস্তিত্বও টের পায়। কিন্তু একজন অশরীরী হয়ে মেয়েকে সবসময় কীভাবে রক্ষা করবে সে? অতি সম্প্রতি এই সিরিয়ালের সম্প্রচার শুরু হওয়ার তারিখ ঘোষণা করেছে চ্যানেল। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে রাত নটার স্লটে শুরু হচ্ছে আলোর কোলে।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই