মানুষ মানুষকে অনুসরণ করে, তাই বলে মৃত্যুও কি অন্য মৃত্যুকে অনুকরণ করে? উত্তর এখন – হ্যাঁ করে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল পল্লবী দের সঙ্গে। সেই পল্লবীর মৃত্যু শোক এখনও অনেকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তারই মধ্যে হুবহু পল্লবীর মতন আরো এক মডেল প্রাণ দিলেন।
গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে গলা মেলান ২১ বছরের উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদার। পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছেন বিদিশা। ঘরের দরজা ভিতর থেকে লক ছিল। দেহের পাশে ছিল সুইসাইড নোট। কি আছে সেই সুইসাইড নোটে? এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে কাউকেই তিনি দ্বায়ী করিনি। তবে অনুমান হয় ব্যাক্তিগত কারণ নয়তো প্রফেশনাল কারণে সমস্যার জেরে নিজেই নিজের প্রাণ নিয়েছেন এই মডেল।
গত ১৫ মে গরফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক রহস্যমৃত্যু কলকাতার বুকে। কিছুদিন আগেও এই বিদিশা পল্লবীর ছবি পোস্ট করে লেখেন,” মানে কী এসব? মেনে নিতে পারলাম না,”। সেই মেয়েই এমন একই ধারার কাজ করবে ভাবা যায়?
ইতিমধ্যে,পুলিশ জেরা শুরু করে দিয়েছে বিদিশার বন্ধু বান্ধবদের। ডিপ্রেসনে ভুগছিলেন বিদিশা, এমনটাই দাবি করছেন তাঁর বান্ধবীরা। এছাড়া, মৃত্যুর সময় তার ফোন অফ ছিল না। এমনকি, বুধবার ভোর পর্যন্ত বিদিশা হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন ছিলেন। এবং, মঙ্গলবার রাতে রুমমেটকে নিয়ে পার্লারেও জান তিনি। ওই দিন রাতে মায়ের সঙ্গে তার শেষবারের মতন কথা হয় বলে জানা যায়। এরপরেও কিভাবে একটি মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে? রহস্য দানা বাঁধছে ক্রমশ। প্রসঙ্গত, যারা এই খবরটি পড়েছেন বা জেনেছেন তাদের অধিকাংশের কথা, জীবনকে বেপরোয়া ভাবে চালায় এই কমবয়সী মেয়েরা ফলে শেষে গিয়ে বেসামাল হয়ে যায় এবং রাশ টানতে পারে না। প্রেম হোক বা পেশাগত দিক, সমস্যা থাকতেই পারে, নিশ্চয় সমাধান আছে।আজকের দিনে মেয়েরা খুবই ধৈর্য কম নিয়ে বাঁচে, তাই তাদের কাছে মৃত্যুই হল জিতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা।