ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে সাহসিকতার সীমা অতিক্রম করলো এই বাংলা ওয়েব সিরিজ, দরজা বন্ধ করে দেখুন
বর্তমান সময়ে দিন প্রতিদিন মানুষের কাছে বিনোদন জগতের থেকে চাহিদা সমূহ বদলে যাচ্ছে। গত পাঁচ বছর আগে অব্দি মানুষের কাছে মাধ্যমের অপর নাম ছিল সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রুপোলি পর্দা। কিন্তু বর্তমানে এসবকে ছাপিয়ে গেছে ডিজিট্যাল মাধ্যম। এখন মোটামুটি সব বয়সের মানুষই মোবাইল নির্ভর হয়ে পড়ছেন। তাই এখন বিনোদন ও মনোরঞ্জনের অন্যতম যন্ত্র ‘মোবাইল’ মানুষের কাছে সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে। আর এই ভ্রাম্যমান যুগে চলচ্চিত্রের থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে ওয়েবসিরিজের জনপ্রিয়তা।
ওয়েবসিরিজের জন্য বর্তমানে একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম উপলব্ধ অন্তর্জালিক মাধ্যমে। হিন্দি, ইংরেজির পাশাপাশি এখন আঞ্চলিক সব ভাষাতেও ওয়েবসিরিজের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আর বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’ সেই দিক দিয়ে দর্শকদের চাহিদা পূরণে সফল হয়েছে বিগত কয়েকবছরে। এখানে মোটামুটি সমস্ত বয়সের দর্শকদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করা হয়। থ্রিলার, সাসপেন্স ধর্মী ওয়েবসিরিজের পাশাপাশি সাহসী সব দৃশ্যে পরিপূর্ণ ওয়েবসিরিজ বানিয়ে বাঙালির অবসর সময়ে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। আর এই প্ল্যাটফর্মে ‘মন্টু পাইলট’ একটি খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসিরিজ।
২০১৯ সালের একেবারে গোড়ায় স্ট্রিমিং শুরু হয় দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘হইচই’-এর ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’-এর। এই সিরিজের গল্প মূলত মন্টু নামের এক যুবককে নিয়ে, যার ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল একজন বিমানচালক অর্থাৎ ‘পাইলট’ হওয়ার। তার মা তাকে নীলকুঠির রেড-লাইট এলাকা থেকে বের করে আনার জন্য সব রকম চেষ্টা করেও, ব্যর্থ হয় এবং তার পরিণতি হয় ভয়ানক। সেখান থেকে দিনে দিনে যৌনকর্মীদের দালাল হয়ে ওঠে সে। এর মাঝে আবেগ, অনুভূতি ও প্রেমহীন মন্টুর জীবন বদলে যায়, ভ্রমরের সঙ্গে তার দেখা হওয়ার পর থেকে। এভাবেই এগোয় সিজন ১ -এর গল্প। এই সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে এই গল্পেই মন্টুকে সেই নীলকুঠির রাজা হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে দেখা যায়।
এই ওয়েবসিরিজে অভিনয় করে মোটামুটি স্পটলাইটে এসেছিলেন অভিনেতা সৌরভ দাস (Sourav Das)। তিনি ‘মন্টু’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই সিরিজে। তার বিপরীতে ‘ভ্রমর’ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়কে (Solanki Roy)। তবে দ্বিতীয় সিজনে তাকে দেখা যায়নি। দ্বিতীয় সিজনে নায়কের বিপরীতে দেখা গেছে অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাকে।