2022 সালের 29 শে অগস্ট ‘বাবা ফিল্মস’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হয়েছিল ‘জওয়ান নৌকরানি’ নামে একটি হিন্দি শর্ট ফিল্ম। হিন্দি শর্ট ফিল্মটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন কালিম খান (Kalim Khan)। এই শর্ট ফিল্মে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তপন কুমার (Tapan Kumar), লিচি দাশ (Litchy Das), রণিত চক্রবর্তী (Ranit Chakraborty), সন্দীপ প্রামাণিক (Sandip Pramanik)। এখনও অবধি এই শর্ট ফিল্মটির ভিউ অতিক্রম করেছে আট লক্ষের কিছু বেশি।
শর্ট ফিল্মের শুরুতে দেখা যায়, কাজের মেয়ে রূপা ধীরে ধীরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে। একসময় সে একটি বাড়িতে ডোরবেল বাজায়। এক ব্যক্তি দরজা খোলে। রূপাকে সে জিজ্ঞাসা করে, এতদিন রূপা কাজে আসেনি কেন! রূপা বলে, সে বিপদে পড়েছে। তা শুনে ওই ব্যক্তি রূপাকে বাড়ির ভিতর আসতে বলে। রূপাকে ওই ব্যক্তি তার সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করলে রূপা বলে, সে ওই ব্যক্তির জন্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তার জীবন নষ্ট করেছে ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি বুঝতে পারে না, সে কি করেছে! রূপা বলে, ওই ব্যক্তি তার সাথে যা করেছে তা একজন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে ঘটায়। ওই ব্যক্তি রূপার মুখে এই কথা শুনে চমকে যায়। ওই ব্যক্তির নাম মহেশ। রূপা বলে, সে ঠিক কথা বলছে। মহেশের নেশা হয়তো এখনও কাটেনি। রূপার উপর রেগে গিয়ে মহেশ বলে, সে কাজের মেয়ে। ফলে নিজের গন্ডি যেন সে অতিক্রম না করে।
রূপা মহেশকে হুমকি দেয়, সে সব কথা তার স্ত্রী মমতাকে বলে দেবে। মহেশ ভয় পেয়ে যায়। রূপা বলে, সে মহেশের সন্তানের মা হতে চলেছে। সে জানায়, নেশার ঘোরে মহেশ তাকে জোর করে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করেছিল। রূপা ব্ল্যাকমেল করে মহেশের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে। এরপর রূপা আরও একটি বাড়িতে যায়। সেই বাড়ির গৃহকর্তাকে রূপা মনে করিয়ে দেয়, তার মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সুযোগে ওই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছে। তবে এই বাড়িতে তার পরিচয় রূপার পরিবর্তে কাজল নামে।
সে ওই ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেল করে দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই ব্যক্তির কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার ফলে তার বৌয়ের গয়না সে কাজলের হাতে তুলে দেয়। এরপর আরও এক ব্যক্তির ফোন আসে রূপার কাছে। সে একটি অফিসে পৌঁছে যায়। আসলে রূপার প্রকৃত নাম আয়ুশী। ওই ব্যক্তির সাথে যৌথ ভাবে অপরাধ চক্র চালায় আয়ুশী ও কাজের মেয়ে সেজে পৌঁছে যায় বিভিন্ন বাড়িতে।
