এলাহি আয়োজনে সম্পন্ন নীল-তৃণার রিসেপশন, অনুষ্ঠানের মেনুতে রকমারি পদ, রইলো তালিকা
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ছিল তৃনীলের বিয়ে। হ্যা টলিপাড়ার মিষ্টি জুটি নীল তৃণার স্বপ্নের বিয়ে। আচার নিয়ম কানুন মেনেই সাতপাকে বাধা পড়েছিলেন নীল তৃণা। এনগেজমেন্ট থেকে বিয়ের রাত অব্দি সব আয়োজন ছিল বেশ রাজকীয়। নীল তৃণার বিয়েতে উপস্থিত ছিল ‘কৃষ্ণকলি’ আর ‘খড়কুটো’ পরিবার। আচার-অনুষ্ঠান মেনে নীল তৃণারর বিয়ে-বউভাত সব আগেই মিটেছে। বৌভাত মিটতে না মিটতে দুজনকে নিজেদের কাজের সেটে ফিরে আসতেও হয়েছে। তবে এই মিষ্টি কাপল আগে থেকেই ভেবে রেখেছিল, ভালোবাসার দিনে গ্র্যান্ড রিসেপশান হবে।
কথা মতো ভালোবাসা দিবসে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য গ্র্যান্ড রিসেপশনের আয়োজন করেছেন এই হেভিওয়েট দম্পতি। পিসি চন্দ্র গার্ডেনে হয়েছে নীল-তৃণার গ্র্যান্ড রিসেপশন। প্রেমের দিন, নিজেদের রিসেপসান ছিল তাই দুজনের পোশাকেই রয়েছে লালের ছোঁয়া। নীল এদিন একটি কালচে মেরুন রঙের শেরওয়ানি। অন্যদিকে তৃণা পরেছেন গাঢ় লাল রঙের একটি লেহেঙ্গা। সঙ্গে মানানসই গয়না আর কপালে চওড়া করে সিদুঁর। নীল-তৃণার রিসেপশনের ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
বিয়ের মতো রিসেপশানের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু কাজের জন্য তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। এদিন একঝাঁক টলিতা সমাবেশ ছিল নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে। এসেছিলেন ইশা সাহা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। নিজেদের রিসেপশানের রাতে একে অপরের ভালোবাসায়৷ রোম্যান্টিক গানে নেচেছিলেন। এ দিন সাদা কাপড়ের উপর লাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল পুরো অনুষ্ঠানের জায়গা একটি বড় মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল যেখানে নবদম্পতির বসার জায়গা রাখা হয়েছিল। সেখানেই সমস্ত ছবি তুলেছেন এই মিষ্টি দম্পতি।
টলি তারকার সমাবেশ আর প্রীতিভোজ থাকবেনা তা কী হয়। তাই এই দিন তারকাদের জন্য রাজকীয় খাবারের ব্যবস্থা ছিল। শুরুতেই পাতে ছিল মাটন গলৌটি কাবাব, পনীর টিক্কা কাবাব সঙ্গে বিভিন্ন ফলের জুস। গরম গরম পাস্তা তৈরি করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। তার পর ২-৩রকম নয় একেবারে ১১ রকমের স্রেফ সালাড! গ্রিন সালাড, ব্রকোলি সালাড, ফ্রুট সালাড আরো কতক কী৷ এরপর ছিল ‘মেইন কোর্স’-এর পালা। নিরামিশাষী ও আমিশাষীদের জন্য নানান ব্যবস্থা। নিরামিশাষীর পাতে পড়েছিল বাটার নান, রুমালি রুটি, ডাল মাখানি, পনীর পসন্দ, খুশখা পোলাও, বাসমতি রাইস, আলু-গোবি কষা, ইত্যাদি। আর ননভেজদের জন্য বাটার নান, রুমালি রুটি, ডাল মাখানি, ককটেল ফিশ ফ্রাই, মাটন বিরিয়ানি, চিকেন চাঁপ, বাসমতি রাইস, মুরগির কষা মাংস, চিংড়ি। আর মিষ্টি মুখের জন্য ছিল এলাহি ব্যবস্থা। আলু বোখরার চাটনি, ক্ষীর সহযোগে কেসরি জিলিপি, পাঁপড়, গাজরের হালুয়া, সন্দেশ, ভ্যানিলা আইসক্রিমের সঙ্গে টাটকা ফল আর পান। এইভাবে সাড়লো নিজেদের রিসেপশানের খাওয়া দাওয়া।