আরও একবার সামাজিক মাধ্যমে কটূক্তির সম্মুখীন হতে হল নেহা কক্কর কে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন গান ‘কাঁটা লাগা উইমা’। নেহা কক্কর এবং তাঁর দাদা টনি কক্কর-এর এই গান দর্শকদের একেবারেই পছন্দ হয়নি। বেশ কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর এই নতুন গান। হানি সিংয়ের র্যাপও যুক্ত হয়েছে এই গানে।
এই গানে নেহা কক্কর-কে দেখা গিয়েছে এক অন্যরকম লুকে। গোলাপি সবুজ মেশানো এক পোশাক, ব্লোন্ড হেয়ার, মাথায় ব্যান্ডানা পরিহিত নেহা-কে একদমই মানায়নি বলে জানিয়েছেন দর্শকদের একাংশ। দর্শকদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘হাসির খোরাক’। অনেকে তাঁকে ‘চাঁদনী চকের লেডি গাগা’ আখ্যা দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, ‘মিনাজের নকল ভার্সন তিনি..’। অনেকের মতে হলিউড নায়িকাদের নকল করতেই তাঁর এই প্রচেষ্টা।
View this post on Instagram
বলিউডে র্যাপ মানেই যার নাম প্রথম মাথায় আসে তিনি হলেন হানি সিং। কিন্তু এই গানে তাঁর র্যাপ অনেকেরই পছন্দ হয়নি। একজন বলেছেন, “হানি, তোমার প্রতিযোগী তুমি নিজেই, সেই পুরনো হানি সিং।” টনি কক্কর-এর ওপরও ক্ষুব্ধ অনেকে। একজন এরই পরিপ্রেক্ষিতে লিখেছেন, “যিনি ‘মিলে হ্যায় তুম হামকো…’র মতো গান লিখতে পারেন তিনি কী করে কাঁটা লাগা উইমা উইমা… লিখতে পারেন বিশ্বাসই হয় না।”
১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সমাধি’ ছবিতে লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে ‘কাঁটা লাগা.. হায় লাগা..’ গানটি আজও ভীষন হিট। এই গানের রিমিক্স ভার্সনও বেরিয়েছিল পরবর্তীকালে। এই গানের আরো একটি রিমিক্স ভার্সন আসতে চলেছে নেহা কক্কর এর কন্ঠে, এই ভেবে বেশ উত্তেজিত ছিলেন নেটিজেনদের অনেকে। কিন্তু তাঁদের আশা পূরণ হলনা। সাধুবাদের পরিবর্তে বেশ চর্চিতই হলেন নেহা কক্কর এবং টনি কক্কর। নতুন গানটির লিরিক্স একেবারেই অন্যরকম তা দেখে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
দর্শকমহলের অনেকেই জানিয়েছেন, ‘একবারেই ভাল লাগেনি’। একজনের মতে, “নিকি বা গাগাকে কপি যদি করে থাক তবে কোরো না। দেখে মনে হচ্ছে চাঁদনী চকের নেহা সেজেছে লেডি গাগা। একটুও মানায়নি। তুমি যেমন তেমনই থেকো।” অপর আরেকজন লিখেছেন, “তোমায় ভালবাসি, কিন্তু এই জামা দেখে কেমন যেন গাজর-মটরের সবজি মনে হচ্ছে।” যদিও তাঁর স্বামী রোহানপ্রীত-এর খুবই পছন্দ হয়েছে তাঁর এই নতুন লুক। তিনি বলেছেন, “নেহা, আর ইউ ফর রিয়েল?” এইসব সত্ত্বেও এই গানটি পেয়েছে লক্ষ লক্ষ ভিউজ। এই গানটি ট্রেন্ডিংও চলছে এখন। ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই রকম প্রতিক্রিয়াতেই গানটি সর্বোপরি হয়ে উঠেছে একটি ‘হিট সং’।