লাগাতার কয়েক মাস ধরে ব্যক্তিগত জীবনের কারণে চর্চিত হচ্ছেন ‘গুড্ডি’-র অনুজ ওরফে রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu)। 2009 সালে ইন্ডাস্ট্রিতে ছোট পর্দায় ‘সাঁঝবেলা’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল রণজয়ের। এরপর কেরিয়ারে এসেছে চড়াই-উতরাই। কিন্তু স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘গুড্ডি’ তা অনেকটাই সামাল দিয়েছে। পাশাপাশি ‘মান্যবর’-এর মতো নামী পোশাকের ব্র্যান্ডের মডেল হিসাবেও দেখা গিয়েছে রণজয়কে। কিন্তু একদিকে যখন কেরিয়ারে ফোকাস করছেন রণজয়, অন্য দিকে তাঁকে ঘিরে ছড়ানো হচ্ছে অযথা গুজব।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)-এর সাথে সম্পর্কে ছিলেন রণজয়। নায়িকার চূড়ান্ত অসুস্থতার সময় তাঁর পর্যাপ্ত খেয়াল রেখেছিলেন তিনি। 2022 সালে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে সোহিনী তাঁর সাথে ব্রেক-আপের ইঙ্গিত দিলেও সম্পর্ক বাঁচানোর জন্য শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন রণজয়। কখনও সোহিনীর পোস্ট করা ব্রেক-আপের ইঙ্গিতকে গুজব বলে নস্যাৎ করেছেন তিনি, কখনও প্রেমকে পরিণিতি দিতে চেয়েছেন পরিণয়ের। সাধারণতঃ মহিলাদের দেখা যায় একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে রণজয়ের মতো খুব কম পুরুষ রয়েছেন যাঁরা একটি সম্পর্ককে মূল্য দেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কয়েক মাস আগে সোহিনীর সাথে ব্রেক-আপ হয়ে গিয়েছে রণজয়ের।
View this post on Instagram
সোহিনী জানিয়েছেন, রণজয়ের সাথে তাঁর সম্পর্ক টক্সিক ছিল না। কিন্তু ব্রেক-আপের কারণ হিসাবে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। রণজয়ের সাথে সোহিনীর ব্রেক-আপের কারণ হিসাবে দায়ী করা হয়েছিল রণজয়কেই এবং তা এখনও অব্যাহত। ‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকে রণজয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শ্যামৌপ্তি মুদলি (Shyamoupti Mudly)। তিনি বয়সে রণজয়ের তুলনায় অনেকটাই ছোট। তাঁরা একই সাথে অভিনয় করছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly) নির্মিত হিন্দি ধারাবাহিক ‘ঝনক’-এ। এই ধারাবাহিকের বিশেষ কিছু অংশের শুটিং হয়েছে কাশ্মীরে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রণজয় ও শ্যামৌপ্তিকেও টিমের সাথে কাশ্মীর যেতে হয়েছিল। কিন্তু অনেকের মতে, সম্পর্ক দানা বেঁধেছে রণজয়ের সাথে শ্যামৌপ্তির যা সর্বৈব মিথ্যা। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রণজয়।
তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর সাথে শ্যামৌপ্তির সম্পর্ক শুধুই অযথা রটনা। সোহিনীকে এখনও শিল্পী হিসাবে সম্মান করেন রণজয়। কিন্তু পোশাক বদলানোর মতো হুটহাট প্রেমে পড়ে যাওয়া রণজয়ের ধাতে নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। শিমুলতলায় বেড়াতে গিয়ে গায়ক শোভন গাঙ্গুলী (Shovan Ganguly) ও সোহিনী তাঁদের সম্পর্কের ঘোষণা করেছেন ফেসবুকে ছবি শেয়ার করে। কিন্তু অজানা কারণে কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ডিলিট করে দিয়েছেন। অথচ বারবার সম্পর্ক ভাঙার জন্য আঙুল তোলা হচ্ছে রণজয়ের দিকে।
মিডিয়ার একাংশ ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছেন এই ধরনের ‘ইয়েলো জার্নালিজম’। কারও ব্যক্তিগত জীবনকে পণ্য করে ভিউ ও রিচ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রণজয় যখন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের চেষ্টায় পায়ের তলার মাটি শক্ত করছেন, সেই সময় তাঁকে ঘিরে এই ধরনের অলীক রটনা কি ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের চোরাগোপ্তা রাজনীতির সংকেত?
View this post on Instagram
