রূপ নিয়ে বারবার অপমান, নিজেকে শেষ করতে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী
নেতিবাচক চরিত্রে যেসব অভিনেত্রীদের সিরিয়ালে, সিনেমায় দেখেন দর্শকরা, তাদের বাস্তব জীবনটা ঠিক কেমন তার খবর রাখেন না অনেকেই। অনস্ক্রিন চরিত্র দিয়েই তাদের বিচার করেন দর্শকরা। কিন্তু তারা অনেক সময়েই জানতে পারেন না, পর্দার খলনায়িকারা বাস্তবে নিজেরাই হয়েছেন নেতিবাচকতার শিকার। নিজের জীবনের এমনি কিছু কাহিনি ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী নিশান্তিকা দাস (Nishantika Das)। সিরিয়ালের বেশ নামী খলনায়িকা তিনি। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে উঠেছেন জনপ্রিয়তার চূড়ায়। কিন্তু এর নেপথ্যে যে কত সংগ্রামের কাহিনি রয়েছে সেগুলো অজানাই থেকে গিয়েছে।
টেলিভিশনের বেশ পরিচিত মুখ নিশান্তিকা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সিরিয়ালে অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। দর্শকরা তাঁকে চেনেন নায়ক নায়িকার জীবনে খলনায়িকা হিসেবেই। অভিনয়ের জন্য তাঁর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে দর্শক মহলে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিশান্তিকার ভক্ত সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৩ হাজারের গণ্ডি। তাঁর মিষ্টি হাসিতে মন ডুবেছে অনেকের। কিন্তু এক সময়ে নিজের রূপ নিয়েই কটাক্ষ সইতে হয়েছে নিশান্তিকাকে। তাঁর আত্মবিশ্বাস ভেঙেচুরে দিয়েছিল এই ইন্ডাস্ট্রি। এমনকি আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন নিশান্তিকা!
ছোট থেকেই তুলনা শুনে বড় হয়েছেন অভিনেত্রী। যমজ দাদার সঙ্গে তাঁর তুলনা চলত। যথেষ্ট সুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর রূপ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অভিনেত্রী জানান, একটি সিরিয়ালের জন্য ছবি তোলার সময়ে ফটোগ্রাফার তাঁকে বলেছিলেন, তিনি তো সুন্দরী নন। তাই অভিনয়টা তাঁকে ভালো করতেই হবে। এখানেই শেষ নয়। এক অভিনেত্রীও নাকি তাঁকে দেখে তাচ্ছিল্য ভরে বলেছিলেন, এত বাজে দেখতে একটি মেয়ে খলনায়িকা হিসেবে নির্বাচিত হন কী করে?
বারবার এমন সব প্রশ্নের মুখে পড়তে পড়তে আত্মবিশ্বাস ভাঙতে শুরু করে নিশান্তিকার। তখনই নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জীবন তাঁর জন্য অন্য কিছু লিখে রেখেছিল। পায়ের তলার টুলটা এক ধাক্কায় ফেলে দিতে সাহসে কুলায়নি তাঁর। আবার ফিরে এসেছিলেন জীবনের মূল স্রোতে। তারপরেও অনেক ধাক্কা খেয়েছেন। প্রেমে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন। অঝোরে কেঁদে আবার পর মুহূর্তেই দাঁড়িয়েছেন ক্যামেরার সামনে। অভিনয়, সাফল্য, দর্শকদের প্রশংসাই তাঁকে জীবনের আসল আনন্দ এনে দিয়েছে। সেই আনন্দের জন্যই বাঁচেন নিশান্তিকা।