মহিলারা কুড়ি পেরোতেই বরাবর একটাই প্রশ্নের সম্মুখীন হন, বিয়ে কবে হবে! ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে পাঁচ বছর পেরোনোর আগেই মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুই চোখের পাতা এক করতে পারতেন না অভিভাবকরা। হিন্দু সমাজে মনে করা হত ‘গৌরীদান’ অর্থাৎ বাল্যবিবাহ অত্যন্ত পুণ্যের। পরবর্তীকালে বাল্যবিবাহ অধিকাংশ স্থানে বন্ধ হয়ে গেলেও একবিংশ শতকে এসেও মেয়েদের প্রতি সমাজের একটাই জিজ্ঞাসা, বিয়ে কবে হবে! চারিদিকে বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। নারীরা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া নারীরা প্রায় প্রত্যেকেই বর্তমানে স্বনির্ভর। তাই সমাজের একটি বড় অংশের মেয়েরা বিয়ে করতে চাইছেন না। তবে শুধুমাত্র এই দলে মেয়েরা নন, রয়েছেন ছেলেরাও। তাঁরা বিবাহ বন্ধনে নিজেদের আটকাতে চাইছেন না। ব্যতিক্রম নন নুসরত ভারুচা (Nushrat Bharucha)-ও।
View this post on Instagram
নুসরতকেও বাড়িতে ও বাইরে সকলেই জিজ্ঞাসা করেন, তিনি বিয়ে কবে করছেন! নুসরত এই মুহূর্তে কোনও সম্পর্কে না থাকলেও তাঁর মাকে এই কথা বোঝাতে তিনি যদি পাত্র দেখতে বলেন, তাহলে তাঁর মা সত্যিই পাত্র খুঁজতে শুরু করে দেবেন। তাই নুসরত কাছে লাগিয়েছেন নিজের বুদ্ধিকে।
নুসরত ইদানিং বিয়ের প্রসঙ্গে তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলছেন। তাঁর মতে, বাড়ি থেকে যদি বিয়ে প্রসঙ্গে কোনও কথা ওঠে এবং যাঁকে নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনিও যদি সমানতালে তর্ক বা ঝগড়া চালিয়ে যান, তাহলে সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে। কারণ বাড়ির লোকেদের মনে এর ফলে জেদ চেপে যায় এবং তাঁরা উঠে পড়ে লাগেন বিয়ে দেওয়ার জন্য।
কিন্তু নুসরত সেই সুযোগ না দিয়ে বাড়িতে দেখা পাত্রের প্রতি যথেষ্ট উৎসাহ দেখান। পরিবারের কথা শুনে দেখা করতে যান। কিন্তু তারপর তিনি আর কথা এগোতে চান না। এর ফলে পরিবারের ধারণা হয়, নুসরত বিয়ে করতে চাইলেও তাঁর পাত্র পছন্দ হচ্ছে না। তবে ব্যক্তিগত ভাবে এখনই বিয়ে করতে রাজি নন নুসরত।
View this post on Instagram