বারংবার বলা সত্ত্বেও রেজিস্ট্রি করতে চায়নি নুসরত, অবশেষে কারণ জানতে পারলেন নিখিল!
এই মুহূর্তে টলিউড ও রাজ্য-রাজনীতি সরগরম নুসরত জাহান (nusrat jahan)-এর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরের থেকেও বেশি নিখিল জৈন (Nikhil jain)-এর সঙ্গে নুসরতের বিচ্ছেদের খবর নিয়ে। নুসরত তাঁর ও নিখিলের বিয়েকে আইনত অবৈধ বলেছেন। ফলে শুরু হয়েছে নুসরতকে নিয়ে জোরদার সমালোচনা। এমনকি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (soumitra khan) নুসরতকে পরামর্শ দিয়েছেন বিয়েকে ‘বৈধ’ বলতে। এর মধ্যেই নিখিল জৈনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন নুসরত। নুসরত জানিয়েছেন, নিখিল তাঁর গয়না ও টাকার অপব্যবহার করেছেন। নুসরত এই বিবৃতি জারির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এবার মিডিয়ায় বিবৃতি জারি করলেন স্বয়ং নিখিল জৈন।
নিখিল জানিয়েছেন, তাঁর উপর এবং তাঁর পরিবারের উপর যে দোষারোপ করা হচ্ছে তা অসত্য প্রমাণ করতেই তিনি এই বিবৃতি জারি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নুসরতকে ভালোবেসে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নুসরতও তা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের পরিকল্পনা মাফিক 2019 সালে তুরস্কে তাঁদের বিয়ে হয় এবং কলকাতায় রিসেপশন হয়। নিখিল জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল এবং সমাজও তাঁদের সেই চোখেই দেখত। একজন দায়িত্ববান মানুষ ও কর্তব্যশীল স্বামী হিসাবে তাঁর যা করণীয় সব করেছিলেন নিখিল। এমনকি তাঁর আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরাও সেই সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। নিখিল জানিয়েছেন, নুসরতের প্রতিটি কাজে তিনি তাঁকে সমর্থন করেছেন, কোনোদিন কোনো শর্ত আরোপ করেননি।
কিন্তু 2020 সালের অগস্ট মাসে একটি ফিল্মের শুটিং করতে গিয়ে নুসরতের আচরণ সম্পূর্ণ বদলে যায়। কেন এই ঘটনা ঘটেছিল তার উত্তর নুসরত দিতে পারবেন বলে মনে করেন নিখিল। নিখিল নুসরতকে বারবার ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশনের কথা বললেও নুসরত তা এড়িয়ে যেতেন। বিয়ের পর নিখিল নুসরতকে বিরাট গৃহঋণ থেকে মুক্ত করতে নিজেদের পারিবারিক অ্যাকাউন্ট থেকে নুসরতের অ্যাকাউন্টে দিয়েছিলেন। কারণ নিখিল ভেবেছিলেন, মাসিক কিস্তির মাধ্যমে নুসরত সেই টাকা আবার পারিবারিক অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে দেবেন। নিখিল নুসরতকে বিশ্বাস করতেন। তাঁর ধারণা, নুসরত তাঁর পারিবারিক অ্যাকাউন্টে যে টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন তা সেই ঋণের টাকা, যা তাঁর ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। নুসরতের তরফ থেকে এখনও অনেক টাকা বাকি আছে বলে জানিয়েছেন নিখিল। নিখিল জানিয়েছেন, নুসরত মিডিয়ায় জারি করা বিবৃতিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন যার ফলে তিনি অপমানিত হয়েছেন। আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য যথেষ্ট বলে মনে করেন নিখিল। জৈন পরিবার মেয়ের মতো ভালবাসতেন নুসরতকে। তাঁরা কোনোদিন ভাবেননি, এই দিন তাঁদের দেখতে হবে।
2020 সালের 5 ই নভেম্বর নিখিলকে ছেড়ে চলে যান নুসরত। নিজের ব্যবহৃত সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র, কাগজ এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি নিজের সঙ্গেই নিয়ে গিয়েছিলেন নুসরত। নুসরত নিজের বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন। নিখিল নুসরতের ফেলে যাওয়া যাবতীয় জিনিসপত্র ও আয়কর সংক্রান্ত নথি কিছুদিনের মধ্যেই নুসরতের বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর নিজেকে প্রতারিত মনে করে নিখিলের মনে খারাপ লাগা তৈরী হয়। ফলে 2021 সালের 8 ই মার্চ আলিপুর আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছিলেন নিখিল। তিনি জানিয়েছেন, নুসরতের মিডিয়ায় দেওয়া বিবৃতি তাঁকে বাধ্য করেছে সত্যকে সামনে আনতে।
নিখিল জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু ব্যক্তিগত এবং আদালতের বিচারাধীন রয়েছে সেহেতু 20 শে জুলাই-এর আগে তিনি কিছু বলতে চান না। এর পাশাপাশি তিনি সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন তাঁকে এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন না করতে।