শুরু হয়ে গিয়েছে দেবীপক্ষ। কিন্তু সমাজে মৃন্ময়ী মূর্তি রূপে নারী পুজিতা হলেও চিন্ময়ী রূপে বারবার ধর্ষিতা হয়েছেন ধর্মীর হানাহানির আবহে। ধর্ষিতাই কখনও মাতৃ রূপে রক্ষা করেছেন তাঁর সন্তানকে। মায়ের কোনো ধর্ম হয় না, নেই জাতও। মা শুধুই মাতৃত্বের শক্তিতে পরিপূর্ণা। মহালয়ার সকালে ঈশান ( Yishaan J.Dasgupta) -এর মা নুসরত জাহান (Nusrat Jahan Ruhi) মাতৃত্বের বার্তা দিলেন একটি ভিডিওর মাধ্যমে। মাতৃত্ব লহমায় অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে তা প্রমাণ করলেন নুসরত।
মহালয়ার সকালে এই বিশেষ বার্তাবাহী ভিডিওটি ফেসবুকে অনুরাগীদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন নুসরত জাহান। ভিডিওর শুরুতে দেখা যায়, আটপৌরে ধরনে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরা নুসরত সন্দেশের থালা নিয়ে আসেন দুই পুত্রসন্তানের কাছে। তারা তখন শ্লেট-পেন্সিলে লিখতে ব্যস্ত ‘মা’। মাতৃরূপিণী নুসরত তাদের সাথে খেলা করেন, লিখতে শেখান মাতৃ অক্ষর। তাঁর এক পুত্রসন্তান মুসলমান ও অপরজন হিন্দু। কিন্তু তবু সকলের মাঝে বয়ে যায় আনন্দের আবহ। দুই ছেলেকে নিজের হাতে মিষ্টিমুখ করান নুসরত। দুটি শিশু মাদুরে বসে গাড়ি নিয়ে যখন খেলা করতে ব্যস্ত, তাদের উপর এসে পড়ে ধর্মান্ধতার অন্ধকার ছায়া।
প্রথমে তারা একে অপরকে রক্ষার চেষ্টা করলেও পরবর্তী সময় দুইজনের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। লাল আলোর আবহ যেন হানাহানির রক্ত। কিন্তু নুসরত এসে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করেন। তিনি তাঁর সন্তানদের রক্ষা করতে চান ধর্মান্ধতা থেকে। সন্তানের রক্ষার্থে মা ধারণ করেন দশভুজা রূপ। ত্রিশূল বিদ্ধ করে সংহার করেন অশুভ শক্তির। যদিও থেমে থাকেনি কটাক্ষ। অনেকেই তাঁকে ‘ব্লাউজ ছাড়া মা দুর্গা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন।
ভিডিওর শেষে দেখা যায়, একগুচ্ছ গোলাপি পদ্ম হাতে ঐক্যের বার্তা বহন করছেন নুসরত। ক্যাপশনে তা স্পষ্ট করে দিয়ে তিনি লিখেছেন, “মা সবার”।
View this post on Instagram