Tourism: দুদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন নিরিবিলি এই সি-বিচ থেকে, দীঘা-পুরী ভুলে যাবেন
সমুদ্র মানেই মন্দারমনি, দীঘা অথবা পুরী তবে এখন বর্তমানে কিছু প্রচুর অফবিট সমুদ্র সৈকত আবিষ্কৃত হচ্ছে, এই সমস্ত জায়গার ভিড় যদি এড়াতে চান তাহলে দীঘার আশেপাশেই ঘুরে নিতে পারেন, অনেক অফবিট সমুদ্র সৈকত তার লাগোয়া অনেক হোটেল তারপরে নানান রকমের ক্যাম্প গড়ে উঠছে, যেখানে গেলে আপনি একটু অন্যরকম অনুভূতি খুঁজে পাবেন।
কি ভাবছেন অনেক কষ্ট করে দুটো তিনটে দিন ম্যানেজ করতে পেরেছেন, বাচ্চার স্কুল ছুটি আছে, আর এই রকম পরিস্থিতিতে যদি মনে হয় একটু সমুদ্রে বেরিয়ে আসে তাহলে দিঘা, পুরীর নাম শুনলেই যেন গায়ে জ্বর আসে কারণ উইকেন্ড এ জায়গাগুলি একেবারে ভীষণ মানুষের কোলাহলে পূর্ণ হয়ে গেছে, তাই একটু যদি নিরিবিলি ফাঁকায় সময় কাটাতে চান, তাহলে ঘুরেই আসতে পারেন এই অসাধারন অফ সমুদ্র সৈকত থেকে।
সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মুহূর্ত কিন্তু ক্যামেরাবন্দি করতে একেবারেই ভুলবেন না। তবে এই সমুদ্র সৈকতে গেলে এক্সট্রা পাওনা হতে পারে লাল কাঁকড়াদের দেখতে পাওয়া সারি সারি লাল কাঁকড়ারা ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু সমুদ্র সৈকতে তাই অবশ্যই তাদের সঙ্গেও একটা ছবি তুলতে ভুলবেন না, কিন্তু তাদের অসাধারণ ঘোরাঘুরি আপনার মনকে একেবারে ওই সমুদ্র তটেই আটকে রাখবে।
এখনই সমুদ্র সৈকতটি মানুষের কাছে অজানাই। তবে সেই জন্যই এখানে সেই রকম কোন হোটেল গড়ে ওঠেনি। যদি হোটেলের খোঁজ পেতে চান, তাহলে কিন্তু আপনাকে সেই দীঘা বা মন্দারমনিতে গিয়ে থাকতে হবে। কিন্তু এছাড়াও এখানে থাকতে পারে রাত্রিবাস করার জন্য রয়েছে টেন্ট ক্যাম্প, তাই টেন্ট ক্যাম্পেই থাকতে পারেন। সামনে সমুদ্র আর এই তাঁবুর মধ্যে থাকা কিন্তু একেবারেই মন্দ হবে না।
এত সুন্দর জায়গায় কি করে পৌঁছবেন? ভেবে দেখেছেন এর জন্য আপনাকে ধর্মতলা থেকে দীঘা যাওয়ার বাসে উঠে পড়তে হবে। তারপর নামতে হবে চাউলখোলা। এই চাউলখোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে নেমে আপনি খুব সহজে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারে, অসাধারণ নির্জন সমুদ্র সৈকতে হানিমুন স্পট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা আছে।