কেরিয়ারে কাজের সংখ্যা কম। তিনি তার টেলিপাড়ায় যাত্রা শুরু করেছিলেন ‘ সাত পাকে বাঁধা’-র মাধ্যমে। তারপর তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর টেলিভিশন থেকে বিরতি নিয়ে আবার ফিরেছিলেন ‘ফাগুন বউ’ সিরিয়ালে। কাজের নিরিখে হয়ত তাঁর সিনেমার সংখ্যা আপাতত একটি। কিন্তু তাঁর ‘ম্যাজিক’ সিনেমা করোনাকালের ক্রান্তি মিটিয়ে প্রযোজকদের আবার লক্ষ্মী লাভের আশা দেখিয়েছিল। গতবছর ঐন্দ্রিলা টলিউডে ডেবিউ করেছিলেন অঙ্কুশের বিপরীতে এই সিনেমার মাধ্যমে।
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা বরাবরই উৎসবপ্রেমী। যেকোনো উৎসবেই তাঁকে প্রেমিক অঙ্কুশ হাজরা এবং বাকি বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড়ে মাততে দেখা যায়। সামনেই রঙের উৎসব। মনের মানুষের রঙের ছোঁয়ায় আরও রঙিন হয়ে উঠবে ঐন্দ্রিলার দোল। কিন্তু এবছর রং লাগাতে অনিচ্ছুক অভিনেত্রী। কিন্তু কেন রঙের উৎসব এরকম বেরঙিন হয় কাটাবেন অভিনেত্রী?
ঐন্দ্রিলা এবছর যে দোল খেলবেন না একথা তিনি একদম নিশ্চিত হয়ে জানাননি। অনেক জায়গা থেকে দোল উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই সব জায়গায় না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কোন ব্যক্তিগত কারণ নয়, নিজের স্বাস্থ্যের জন্যই রঙের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে চান অভিনেত্রী।
বেশ কয়েকদিন ধরে ত্বকের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে পড়ছেন ঐন্দ্রিলা। নানা কারণে তাঁর ত্বকে বেশ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেখানে তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন সেখানে গিয়ে যদি অভিনেত্রী রং না খেলেন তাহলে বিষয়টি দৃষ্টিকটু হয়ে দাঁড়াবে। অভিনেত্রী শরীর যদি সায় দেয় তাহলে রং খেলতে পারেন বলেই জানিয়েছেন।
যদি শরীর ঠিকও থাকত তাহলেও ঐন্দ্রিলার বিশেষ কিছু করার ছিল না। কারণ ঐন্দ্রিলার বাকি বন্ধুরা শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকবে। বিক্রম বা অঙ্কুশ কেউই সময় দিতে পারবেন না। তাঁর দাদা এবং বোন সবাই নানা কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকবে। কিন্তু এতসবের মাঝেও তিনি রঙের উৎসবে আনন্দ করার জন্য ঘোরতর আশাবাদী। আপাতত তিনি পরবর্তী সিনেমা লাভ ম্যারেজের মুক্তির অপেক্ষায়। যেখানে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন অঙ্কুশ। তাঁর সঙ্গে অভিনয় করবেন অপরাজিতা আঢ্য এবং রঞ্জিত মল্লিক।