পুরনো টুথব্রাশ কাজে লাগান তিন উপায়ে
কথায় বলে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবধি আমাদের কাজে আসে বিজ্ঞান। সেই কারণেই বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য আমাদের রোজকার জীবনে। আর বিজ্ঞানের সব আবিষ্কারের মধ্যে অন্যতম হল টুথব্রাশ। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা যে জিনিসটি প্রথম হাতে নিই, তা হল টুথব্রাশ। তার উপর পেস্ট লাগিয়ে দাঁত মাজা আজকাল সকলের অভ্যেস।
টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজা ভীষণভাবে জরুরি। কারণ দাঁতে জমে থাকা খাবারের টুকরো থেকেই জন্ম নেয় জীবাণু, যা দাঁতের ক্ষতি করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এক টুথব্রাশ দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিত নয়। তাই তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে প্রতি তিনমাস অন্তর টুথব্রাশ বদলানো দরকার। এতে দাঁত সবথেকে বেশি ভালো থাকে। কিন্তু পুরানো টুথব্রাশ কি ফেলে দিচ্ছেন? তাহলে দাঁড়ান, আর পড়ুন এই প্রতিবেদন। কারণ পুরানো টুথব্রাশকেও যা আমাদের রোজকার নানা কাজে লাগানো যায়, তা আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে। একনজরে দেখে নিন পুরানো টুথব্রাশের কিছু ব্যবহার।
● জুতো পরিষ্কারে: জুতো পরিষ্কারে টুথব্রাশের ব্যবহার অনেকেই করে থাকেন। স্নিকার্স থেকে ময়লা তুলতে টুথব্রাশ দারুন কাজে লাগে। তবে নকটুন টুথব্রাশ কিনে তা অপচয় করার থেকে পুরানো টুথব্রাশকে এই কাজে লাগানো যায়। এছাড়াও জুতোর নীচের থেকে ময়লা তুলতেও এটি দারুন কাজে লাগে।
● রং করার কাজে: অনেকসময় বাড়ির নানা আসবাবপত্র বা দেওয়াল থেকে রং উঠে যাওয়া জায়গায় রং করার দরকার পড়ে। এক্ষেত্রে নতুন পেইন্টিং ব্রাশ কিনে টাকা অপচয় কেন করবেন। ঘরে থাকা পুরানো টুথব্রাশ থেকেই এই কাজটি অনায়াসে ককরে নিতে পারবেন।
● পাত্র পরিষ্কারে: বিভিন্ন পাত্র পরিষ্কারেও টুথব্রাশের ব্যবহার করা যায়। কোনো পাত্র থেকে ময়লা তোলার জন্য আগে ডিটারজেন্টে টুথব্রাশটি ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই টুথব্রাশ দিয়ে ভালোভাবে ঘষে নিন পাত্রটি। এতে অনায়াসে পাত্রের ময়লা উঠে যাবে।