Hoop NewsHoop Trending

Partha Chatterjee: খাওয়া থেকে স্নান, জেলের মধ্যেই আবদারের শেষ নেই পার্থর

বিলাসবহুল জীবন থেকে জেল কুঠুরির অন্ধকার। ২০২২ সালে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জীবনের গ্রাফটা এভাবেই বদলে গেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই ঠিকানা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কেউ বলেছেন ‘ভাগ্যের পরিহাস’, কেউ আবার বলেছেন ‘কর্মফল’। তবে এক লহমায় জীবনটাই যেন বদলে গেছে রাজ্যের শাসক দলের প্রাক্তন মহাসচিবের। বিলাসবহুল বাড়িতে রাত্রিযাপন, বিলাসবহুল গাড়িতে ঘোরাফেরা, খাবার থালায় পছন্দসই রান্নার পদ- পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে এই সবই হয়েছে অতীত। সবকিছু মানিয়ে তো নিয়েছেন; কিন্তু মানিয়ে নিতে পারেননি ‘পেটুক’ স্বভাব ও শারীরিক কষ্টকে। সঙ্গে আবার রয়েছে মানসিক যন্ত্রনাও। তাই জেলের মধ্যেই নানান বায়না ধরছেন পার্থবাবু। জেল সূত্রে মিলল সেই খবর।

(১) মাছ মাংসের বায়না: ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী জেলে বন্দি সকলের জন্য একই খাবার বরাদ্দ থাকে। জেলের ভেতরেই তৈরি হয় সেসব খাবার। সকালে কোনোদিন রুটি, কোনোদিন পাউরুটি; সন্ধ্যায় হালকা কিছু; রাতে আবার রুটি সব্জি। এদিকে দুপুরের খাবারে সপ্তাহে ৩ দিন মেলে আমিষ খাবার। তার মধ্যে মাছ হলে সকলে পান ২ পিস, মাংস হলে ৪ পিস। তবে এই বিষয়ে পার্থর বায়না একটু বেশি খাবারের। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে জানা গেছে, ৪ পিস মাছ এবং ৬ পিস মাংসের আবদার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তার আবদার রাখা হয়নি বলেই জানা গেছে।

(২) স্নান করানোর লোকের বায়না: প্রেসিডেন্সি জেলের প্রতিটি বিভাগে একটি করেই কমন বাথরুম থাকে। সেখানেই সব বন্দীদের স্নান করতে হয়। ড্রামে ভরা থাকে জল। জানা গেছে, শুরুতে কয়েকদিন সেই ড্রাম থেকে মগে করে জল নিয়ে নিজেই স্নান করতেন পার্থবাবু। তবে সম্প্রতি তিনি আবদার করেছেন একজন এসিস্টেনটের। স্থূলকায় শরীর হওয়ার কারণে তিনি নাকি একা স্নান করতেই পারছেন না। তাই তিনি একজন সহকারীর আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে জেল সূত্রে। যদিও পার্থর এই আবদারেও বিশেষ আমল দেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ।

(৩) ফোনের বায়না: বিচারকার্যের জন্য প্রায়ই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে ফোনালাপ করতেই হয়। মাঝে মাঝে স্ত্রী কন্যার সঙ্গেও জেলের ফোন থেকেই কথা বলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, ফোনে কথা বলার সময় পার্থবাবু আবদার করেন, ফোনে কথা বলার সময় কেউ যেন না তার কাছে থাকে। যদিও ব্যক্তিগত কারণে তার এই আবদার পূরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, ফোনে কথা বলার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে থাকেন না কেউই।

Related Articles