দীর্ঘ আট মাসের লড়াইয়ের পরে অবশ্য সে ১৫ ই আগস্ট ইন্ডিয়ান আইডলের সেরা সেরার শিরোপা গিয়ে উঠল পবনদীপ রাজনের মাথায়। উত্তরাখণ্ডের এক সংগীতের পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা সুরেশ রাজেন এই এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভালো গায়ক বলেই পরিচিত ছিলেন। ছোটবেলায় এমন একটা সুরেলা বাড়িতেই বাবার কাছেই তার প্রথম সংগীতের হাতে খড়ি হয়। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন পবনদীপ। যোগিতায় কখনো যেটা কখনো হারা এই টানাপোড়েন এই তিনি বেশ পাকা পোক্ত হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৫ সালে ‘ভয়েস অফ ইন্ডিয়া’য় পবনদীপ সুযোগ পান। শেষ অব্দি সেখানেও তিনি সেরার সেরা শিরোপা পান। ৫০ লক্ষ টাকা, ট্রফি, অনেক উপহার মারুতি অলটো কে টেন প্রভৃতি গানের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন পবনদীপ।
এই ভাবে তার একপা একপা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। অবশেষে এলো ইন্ডিয়ান আইডলের সেই মুহূর্ত গুলি। একে একে সমস্ত প্রতিযোগী প্রতিযোগীদের হারিয়ে তিনি পেলেন সেরার সেরা মুকুট। বাঙালিরা মনে প্রানে চেয়ে ছিলেন বঙ্গকন্যা অরুনিতাই প্রথম হোক। অরুনিতার সঙ্গে জুটি বেঁধে পবন অনেক পারফরম্যান্স মানুষকে উপহার দিয়েছেন। তবে পবন শুধু ভালো গায়কই নয়, তিনি অসাধারণ বাদ্যযন্ত্র বাজাতেও পারেন। সাধারণ ড্রাম বাজিয়ে তার সঙ্গে গান পরিবেশন করে তিনি বিচারকদের পাশাপাশি প্রত্যেককে চমকেও দিয়েছেন।
কেরিয়ার শুরু করার মুহূর্তে বাংলা সিনেমায় অর্থাৎ দেবের সিনেমায় দেবের লিপে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন পবন। অসাধারণ প্রতিভাশালী এই গায়ক পরবর্তীকালে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে এমনটাই আশা রাখছেন শ্রোতাগণ। তবে এমন অনেক শিল্পী রায় প্রতিবছর এই ধরনের রিয়েলিটি শোতে ওঠেন, আবার কখন কালের নিয়মে আবার একেবারে মুছে যান। সেক্ষেত্রে এতটা হঠাৎ করে প্রাচুর্য কে কে কিভাবে রাখতে পারছেন এটাই হচ্ছে বড় কথা। অনেক বেশি স্টেজ শো করার ফলে অনেক সময় গলা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক মতন রেওয়াজের সময় পান না। তাই চারিদিকের এত প্রাচুর্য কে খুব বেশি পাত্তা না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই এই ধরনের শিল্পীদের লক্ষ্য হতে হবে।
সাধনা সারগম এবং উদিত নারায়ণের গাওয়া সে বিখ্যাত গান ‘নয়া প্যায়ার হে নয়া ইন্তেজার, পহেলা নশা পেহেলা খুমার’ এই অসাধারণ গানটি গেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অরুণিতার মিষ্টি মধুর গলা অনেকদিন আগে থেকেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন এবারে সেরার সেরা মুকুট উঠল বঙ্গকন্যা অরুনিতার মাথায় কিন্তু যাই হোক। যার মাথায় উঠেছে সেই পবনদীপ কোন অংশে কম যায় না। যেমন নাচে তেমন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে তেমন অসাধারণ গলায় সব মিলিয়ে অসাধারণ।
দেখে নিন পবন ও অরুণিতার অসাধারণ জুটি-