Nasif Akhtar: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য ইউটিউবার নাসিফ আখতারের!
নতুন বছর শুরু হলেও কিছু মানুষের মানসিকতা এখনও বদলায়নি। তাঁরা রক্ষণশীল মনোভাব পোষণ করছেন একবিংশ শতকেও। এর ফলেই বারবার বিতর্কিত হচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। বাংলাদেশের গায়ক নোবেল (Nobel)-এর পর এবার ইউটিউব ভ্লগার ও স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান নাসিফ আখতার (Nasif Akhtar)-এর বিদ্রুপের সম্মুখীন হলেন কবিগুরু। এই ঘটনায় বর্তমানে উত্তাল তাঁর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী।
পয়লা জানুয়ারি সমগ্র পৃথিবী যখন নববর্ষ উদযাপনে ব্যস্ত, নাসিফ সেই সময় নিজের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওয় শান্তিনিকেতন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তিনি। নাসিফ বলেন, তিনি শান্তিনিকেতন ও বোলপুর ঘুরেছেন। তিনি শান্তিনিকেতন ঘোরার পর উপলব্ধি করেছেন, রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতাটির জমিদার তিনি নিজেই যিনি প্রজার জমি ছিনিয়ে নেন। নাসিফের বক্তব্য, সেই জমিতেই নাকি তৈরি হয়েছে শান্তিনিকেতন। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা। শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথ নয়, তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (Devendranath Tagore)-কে লক্ষ্য করেও নাসিফ অশালীন কটাক্ষ করে বলেছেন 1870 খ্রিস্টাব্দে দেবেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের জমিটি কিনেছিলেন এবং তারপর বলিউড অভিনেতা সলমান খান (Salman Khan)-এর মতো ফার্ম হাউস বানিয়েছেন তিনি। এটাই তাঁদের মতো জমিদারদের কাজ।
‘শান্তিনিকেতন’ নামের অশোভন ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি পৌষমেলা নিয়েও অশ্লীল কটুক্তি করেছেন নাসিফ। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে বিশ্বভারতী। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা পুলিশের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। ঠাকুরবাড়ির বর্তমান সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর (Supriyo Tagore) এই প্রসঙ্গে মনে করেন, নাসিফ ছিটগ্রস্ত। তিনি হয়তো স্বাভাবিক নন। স্বাভাবিক মানুষ হলে এই ধরনের মন্তব্য তিনি করতে পারতেন না। কিন্তু যদি নাসিফ স্বাভাবিক হন, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিয়। তাঁর মতে, নাসিফের মতো মানুষদের স্থান পাগলা গারদ অথবা জেল। এছাড়াও সাঁওতালি ভাষা ও আদিবাসী সমাজকে নাসিফ অপমান করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এর মধ্যেই শান্তিনিকেতনের পড়ুয়াদের একাংশ নাসিফের ক্ষমা চাওয়া ও এই বিতর্কিত ভিডিও ডিলিট করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। নাসিফের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্ষুব্ধ নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের মতে, জনপ্রিয় হওয়ার জন্য এই ধরনের ভিডিও বানিয়েছেন ওই ইউটিউব ভ্লগার। অপরদিকে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা হুমকি দিয়েছেন, নাসিফ শান্তিনিকেতনে এসে ক্ষমা না চাইলে এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর পর্যায়ে যাবে। তবে ইতিমধ্যেই নিজের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে ওই বিতর্কিত ভিডিও ডিলিট করেছেন নাসিফ।
View this post on Instagram