পায়েল দে (Payel De) ক্রমশ খবরের শিরোনামে নিজের স্থান পাকা করে নিচ্ছেন। নামী বস্ত্র-বিপণির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর থেকে দর্শকদের একান্ত নিজের ‘মা দুর্গা’ হয়ে উঠেছেন পায়েল। তাবড় তাবড় অভিনেত্রীরা মা দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করলেও দর্শকদের চিরন্তন চাহিদা কিন্তু পায়েলই। তবে এখনও অবধি কোনো চ্যানেলের মহালয়ার অনুষ্ঠানে মহিষাসুরমর্দিনীর চরিত্রে তাঁকে দেখা যায়নি। তাতে পায়েলের কোনো আফশোস নেই। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর প্রথম ফিল্ম ‘মুখোশ’। ফিল্মে ‘রাই’-এর চরিত্র তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। এবার তাঁকে দেখা যেতে চলেছে হইচই-এর নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দু’-তে।
View this post on Instagram
মিসিং স্ক্রু-র প্রযোজনায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দু’ পরিচালনা করছেন সায়ন্তন ঘোষাল (Sayantan Ghoshal) । এই সিরিজে মানসিক ভারসাম্যহীন কৌশানীর চরিত্রে দেখা যাবে পায়েলকে। কৌশানী তাঁর নতুন পরিচয় স্থাপন করবে বলে আশাবাদী পায়েল। মা দুর্গার তকমা তাঁকে গৌরবান্বিত করলেও একটানা এই পরিচয় তাঁকে ক্লান্ত করে তুলেছে। এবার নতুন রূপে সাজতে চান পায়েল। এই মুহূর্তে তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছেন যা যেকোন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর স্বপ্ন। বারবার ভেঙে গড়ে তুলছেন নিজেকে। একসময় দেবী সাজতে সাজতে মন খারাপ হতে শুরু করেছিল পায়েলের। মনে হত, তাঁর অভিনয়ের প্রতি জাস্টিস করা হচ্ছে না। কিন্তু কৌশানী তাঁর দুঃখের অবসান ঘটিয়েছে।
কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করা হয়েছিল চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)-কে। কিন্তু লীনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পায়েল জানালেন, লীনা সহযোগিতা না করলে এত কাজ একসঙ্গে করা পায়েলের পক্ষে সম্ভব ছিল না। ‘দেশের মাটি’ -র উড্জ্বয়িনী, ‘মুখোশ’-এর রাই ও ‘ইন্দু’-র কৌশানী তিনটি তিন ধরনের মাধ্যম। অভিনয়ের ধরনও কিছুটা হলেও আলাদা। ফলে নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারছেন পায়েল।
কৌশানীর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পায়েল জানিয়েছেন, কৌশানী বাড়ির বড় মেয়ে। ডাকনাম তার কুশি। বিয়ের তিন বছর যেতে না যেতেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসে কৌশানী। মানসিক ভাবে অসুস্থ কৌশানীর জীবন সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট নয়। মেজ ভাই বুঝাই তাকে আগলে রাখে। বুকাই-এর বৌ তার প্রিয় বান্ধবী। কিন্তু মানুষের প্রতি কেন এত আতঙ্কিত কৌশানী? ‘ইন্দু’-তে তুলে ধরা হয়েছে সেই কাহিনী। তবে কৌশানীর মতো বিশেষ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পায়েলকে রীতিমতো হোমওয়ার্ক করতে হয়েছে। এই ধরনের মানুষদের অবজার্ভ করতে হয়েছে, কথা বলতে হয়েছে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। তাঁদের নিয়ে লেখা বই পড়েছেন পায়েল। তবে পায়েলকে ‘কৌশানী’ হয়ে উঠতে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন চিত্রনাট্যকার সাহানা দত্ত (Sahana Dutta)। সাহানাই অভিনেতাকে তৈরি করে দেন চরিত্রের জন্য বললেন পায়েল। কৌশানী পায়েলকে পূর্ণ রূপে অভিনেত্রী করে তুলতে চলেছে। কারণ শিল্পীর কাছে তাঁর শিল্প সন্তানসম। দেবী দুর্গা রূপ নিতে চলেছেন মানবী কৌশানীতে।
View this post on Instagram