খুনের ঘটনা চাউর হতেই সেমিনার রুমে সন্দীপ ঘনিষ্ঠদের ভিড়, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে নয়া বিতর্ক
আরজিকর (RG Kar Medical College Hospital) এর ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এক নতুন মোড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি নতুন ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আরজিকর এর সেমিনার রুমে লোকে লোকারণ্য। আরজিকর এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতও অনেককে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনাস্থল যে সেমিনার রুম বলা হচ্ছে, যেখানে এমন নারকীয় ঘটনা ঘটে গিয়েছে, পুলিশ সেই জায়গা সবার আগে সিল করল না কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে লোকজন ঢুকিয়ে প্রমাণ লোপাট করাই ছিল উদ্দেশ্য?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, সেমিনার হলে পুলিশের সামনেই বহু মানুষের ভিড়। এমনকি বহিরাগতদেরও দেখা গিয়েছে ওই ভিড়ের মধ্যে। পুলিশ যখন জানতই যে ওই সেমিনার রুমেই পাওয়া গিয়েছিল নির্যাতিতার দেহ, তবে ভিড় করার অনুমতি কেন দেওয়া হল? এক আইনজীবীকেও দেখা গিয়েছিল সেমিনার রুমে। তবে কি কোনো পরামর্শের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে? এমন প্রশ্নও উঠছে।
সেমিনার রুমে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছিল আগে থেকেই। আরজিকর এর কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের দেহ মেলে ওই সেমিনার রুমে। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু তারপরেও অত মানুষ সেমিনার রুমে ঢোকার সুযোগ পেল কী করে এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে কি প্রথমে লোক ঢুকিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করার পর সেমিনার রুমের বাইরে ভাঙচুর চালানো হয়? ভাঙচুরের অনুমতি কে দিল তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি প্রশ্ন করেছেন, দেবাশিস সোম, ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু দে রা সেমিনার রুমে কী করছিলেন? ফরেনসিক প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল? ঘটনাস্থলে কারোর যাওয়ার অনুমতি না থাকলেও এঁরা গেলেন কীভাবে, পুলিশ আটকালো না কেন? প্রশ্ন তুলেছেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।