অভিযোগ করার পরেও ক্রমাগত ধর্ষণের হুমকি, আইনের দারস্থ হলেন ছোট পর্দার গুড়িয়া
নেটদুনিয়ায় ক্রমশ বাড়ছে সাইবার ক্রাইমের প্রবণতা। কিন্তু এই সাইবার ক্রাইম দমনে লালবাজার সাইবার ক্রাইম সেলের ভূমিকা কতটা রয়েছে? এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল (pratyusha pal)।
2020 সালের শুরুর থেকে ক্রমাগত ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন প্রত্যুষা। কিন্তু গত এক বছর ধরে লালবাজার সাইবার ক্রাইম সেলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে বারবার ফিরে এসেছেন প্রত্যুষা। তবে অবশেষে কিছুদিন আগে প্রত্যুষার অভিযোগ নিয়েছে লালবাজার সাইবার ক্রাইম সেল। কিন্তু এখনও সেই মামলার তদন্ত শুরু হয়নি। এমনকি আশ্চর্যের বিষয়, অভিযোগ জমা পড়ার পর, একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও ওই ব্যক্তি 11 ই জুলাই সকালে ধর্ষণের বর্ণনা দিয়ে তাঁকে ইন্সটাগ্রামে মেসেজ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যুষা।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রত্যুষা জানিয়েছেন, 2020 সালের শুরুর দিক থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। নির্দিষ্ট এক ব্যক্তি বিভিন্ন প্রোফাইল থেকে মেসেজ করে প্রত্যুষাকে ধর্ষণের হুমকি দিতেন। প্রত্যুষা একটি প্রোফাইল ব্লক করে দিলে তাঁকে অন্য প্রোফাইল খুলে ওই ব্যক্তি তুইতোকারি করে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি আগের প্রোফাইল ব্লক করে দিলেন! চার-পাঁচবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতেই প্রত্যুষা স্থানীয় সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিঁথি থানা থেকে তাঁকে লালবাজার সাইবার ক্রাইম সেলে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। সিঁথি থানার আধিকারিকের কাছ থেকে পদ্ধতি জেনে প্রত্যুষা নিজের মাকে লালবাজারে পাঠান। কিন্তু লালবাজার সাইবার ক্রাইম সেলের অফিসাররা তাঁর মাকে বোঝান, এই ধরনের ঘটনা খুব স্বাভাবিক। সমাজে উচ্চতায় উঠলে, খ্যাতি পেলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। এসব নিয়ে মাথা ঘামাবার প্রয়োজন নেই বলে প্রত্যুষার মাকে তাঁরা বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এরপরেও দিনের পর দিন ওই ব্যক্তি ধর্ষণের হুমকি দিতে থাকে। এমনকি সে বলে, প্রত্যুষার মাকেও ধর্ষণ করবে। প্রত্যুষা বারবার মাকে লালবাজারে পাঠানো সত্ত্বেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। এমনকি করোনা পরিস্থিতিতেও প্রত্যুষার মাকে এই ঘটনার কারণে লালবাজার যেতে হয়েছিল। এরপর কোনো উপায় না দেখে আতঙ্কিত প্রত্যুষা সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নেন। এরপরেই লালবাজার সাইবার ক্রাইম সেল তাঁর অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়। প্রত্যুষা জানিয়েছেন, সম্ভবত এই ব্যক্তি তাঁর খুব পরিচিত কেউ। কারণ সে তাঁর সম্পর্কে বেশ কিছু সূক্ষ্ম তথ্য দিয়েছে যা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কেউ ছাড়া জানা সম্ভব নয়। প্রত্যুষার ধারণা এই ব্যক্তি তাঁকে ফলো করে এবং তাঁর খবরাখবর রাখে। অথচ ব্যক্তিটির প্রোফাইলে তার কোনো ছবি নেই এবং প্রোফাইলটি ভুয়ো নামে খোলা হয়েছে। প্রত্যুষা মনে করছেন, তাঁকে হুমকি দিয়ে তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। জি বাংলার ‘তবু মনে রেখো’ সিরিয়ালের মাধ্যমে নজর কেড়েছিলেন প্রত্যুষা।
View this post on Instagram