BollywoodHoop Plus

Sajid Khan: ভোজপুরি নায়িকা রানিকেও ছাড়েননি সাজিদ খান, জানতে চেয়েছিলেন স্তনের মাপ

বর্তমানে গোটা দেশ উত্তাল কালার্স চ্যানেলের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’ নিয়ে। বিগ বসের ঘরে এই মুহূর্তে উপস্থিত রয়েছেন বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত পরিচালক সাজিদ খান (Sajid Khan)। 2018 সালে ‘মিটু’ আন্দোলনের সময় যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল সাজিদকে কেন্দ্র করে। বলিউডের পরিচালক সমিতি তাঁকে মাত্র এক বছরের জন্য বরখাস্ত করে। কিন্তু 2022 সালে সাজিদকে বিগ বসের ঘরে আমন্ত্রণ জানানোর ঘোর বিরোধী শার্লিন চোপড়া (Sherlyn Chopra), র‌্যাচেল হোয়াইট (Rachel White)-রা। শার্লিন জানিয়েছেন, তাঁর সামনে যৌনাঙ্গ উন্মুক্ত করে সাজিদ মাপ জিজ্ঞাসা করেছিলেন। এবার মুখ খুললেন ভোজপুরি অভিনেত্রী রানি চট্টোপাধ্যায় (Rani Chatterjee)।

রানি জানিয়েছেন, ‘হিম্মতওয়ালা’ ফিল্মের রিমেকের সময় শুটিংয়ের কিছুদিন আগেই তাঁর সাথে সাজিদের ফোনে কথা হয়েছিল। সেই সময় সাজিদ তাঁকে বাড়িতে আসতে বলেন। জুহুতে সাজিদের বাড়িতে গিয়ে রানি দেখেন, তিনি একাই এসেছেন, অপর কেউ নেই। ফিল্মে ‘ধোঁকা ধোঁকা’ আইটেম সং-এর জন্য সাজিদ প্রস্তাব দিয়েছিলেন রানিকে। এই বিষয়ে কথা বলতেই পরিচালকের বাড়িতে আসেন তিনি। সেদিন রানির পরনে ছিল লং স্কার্ট। তিনি সাজিদের সামনে সোফায় বসে কথা বলছিলেন। সাজিদ তাঁকে স্কার্ট সরিয়ে পা দেখাতে বললে রানি মনে করেন, আইটেম সং-এর পোশাকের জন্য হয়তো সাজিদ এই কথা বলছেন। কিন্তু এর পরেই পরিস্থিতি ক্রমশ অন্য দিকে মোড় নেয়।

সাজিদ জানতে চান রানির স্তনের মাপ। এমনকি তিনি জিজ্ঞাসা করেন, রানি তাঁর বয়ফ্রেন্ডের সাথে কতবার যৌন সংসর্গে লিপ্ত হয়েছেন! ফাঁকা ঘরে দরজা বন্ধ করে তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাজিদ। সেদিন রানি পালিয়ে এসেছিলেন সাজিদের বাড়ি থেকে। এমনকি ভয় পেয়ে এই ঘটনার কথা কাউকে বলেননি। বর্তমানে তিনিও চান, সাজিদকে বার করে দেওয়া হোক বিগ বসের ঘর থেকে। কিন্তু সাজিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিচালক সমিতি। তাঁদের মতে, এক বছরের জন্য শাস্তি ভোগ করেছেন সাজিদ। বর্তমানে তিনি নিজের উপার্জনের জন্য কাজ করতেই পারেন। অপরদিকে দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল (Swati Maliwal) সাজিদকে বিগ বসের ঘর থেকে বার করে দেওয়ার দাবিতে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)-কে। সেই চিঠিতে একাধিক মহিলা সেলেব সই করা সত্ত্বেও এখনও অবধি তাঁর কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।

‘বেটি বাঁচাও’, ‘কন্যাশ্রী’-র পাশাপাশি প্রয়োজন সাজিদ খানদের মতো ব্যক্তিদের সঠিক শাস্তি। মাত্র এক বছরের জন্য সাজিদকে পরিচালক সমিতি বরখাস্ত করে ‘আইওয়াশ’ করার চেষ্টা করেছেন। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে যৌন হেনস্থার শাস্তি দিতে এখনও একশত বার ভাবনা-চিন্তা হয়। কেন? এখনও কি সকলে মনে করেন, নারীকে তুলাদন্ডে তুলে ওজন করা যায়? একজন যৌনকর্মী অথবা কোনো অ্যাডাল্ট ফিল্ম তারকা যৌন হেনস্থার শিকার হলেই নেটিজেনরা তাঁকে ট্রোল করতে শুরু করেন। একাংশ নয়, অধিকাংশ নেটিজেন। সেই নারীর চোখে আঙুল দিয়ে খুঁত দেখাতে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। কিন্তু কখনও একজন যৌনকর্মীকেও তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনতায় জোর করা হলে তা যৌন হেনস্থার নামান্তর এবং বেআইনি। ফলে নারীর দোষ দেখবেন তখন, যখন নারী নিগ্রহের সুবিচার হবে। বলা তো যায় না, যাঁরা আজ শার্লিন চোপড়া, রানি চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র নিয়ে তুলোধোনা করতে ব্যস্ত, তাঁদের ঘরের মেয়েরাও হয়তো কখনও যৌন হেনস্থার শিকার হবেন! কি করবেন তখন? ট্রোলাররাই তো একদিন যৌন হেনস্থার জন্য মেয়েরা নিজেরা দায়ী বলে সাজিদ খানদের মতো একাধিক ব্যক্তিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Chipku Media (@chipkumedia)

whatsapp logo