সদ্য পায়ে অপারেশন হল অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারের। পায়ের হাড় ভেঙে গেলে চলে অস্ত্রোপচার। আপাতত সফল হয়েছে চিকিৎসা, হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা ও রাহুলের একমাত্র ছেলে সহজ এখন তাঁর দাদু দিদিমার কাছে। মায়ের অ্যাক্সিডেন্টের খবরে সেও অবাক এবং আহত। ডাক্তার বলেছেন তিনমাস বিশ্রামের প্রয়োজন প্রিয়াঙ্কার, এবং ফিজিওথেরাপির সঠিকভাবে করলে ছয় মাসের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন প্রিয়াঙ্কা।
এমত অবস্থায় তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরতে চান প্রিয়াঙ্কা। মন টিকছেনা হাসপাতালের গণ্ডীর মধ্যে। বৃহস্পতিবারের আগেই বাড়ি ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু, কেনো?
রাহুলের থেকে বহুদিন ধরেই আলাদা থাকেন প্রিয়াঙ্কা। ছেলে সহজকে নিজের কাছেই আগলে রাখেন প্রিয়াঙ্কা। আগামী বৃহস্পতিবার হল ছেলের জন্মদিন। তাই ওইদিন কোনোভাবেই হাসপাতালে থাকতে চাননা অভিনেত্রী। ইচ্ছে ছিল, ছেলের জন্মদিনের দিন উত্তরবঙ্গে যাবেন শ্যুটিংয়ের কারণে এবং সেখানেই পালন করবেন জন্মদিন। বর্তমানে হাসপাতালে থাকার জন্য, শ্যুটিং যেমন পুরোপুরি বন্ধ তেমনই পুরোপুরি বেডরেস্টে চলে গেলেন প্রিয়াঙ্কা। এরপরেও ছেলের জন্মদিনে ছেলের সঙ্গে ঘরেই থাকতে চান অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত ১১ টা পর্যন্ত শ্যুটিং চলছিল রাজারহাট এলাকায়। সেই সময় শুটিংয়ের সেটে কর্ডন ভেঙে এক মত্ত বাইকচালক ঢুকে পড়ে। এতেই জখম হন প্রিয়াঙ্কা এবং অর্জুন। নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। অর্জুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও প্রিয়াঙ্কা গুরুতর চোট পান এবং পায়ের হাড় ভেঙে যায়। শনিবার দুপুরে হয় পায়ের সার্জারি। আপাতত সুস্থ আছেন তিনি এবং ওই মত্ত বাইক চালককে পুলিশ ধরে ও বারাসত কোর্টে চালান করে। যদিও তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।