Pushpita Mukherjee: প্রথম সিজন সঞ্চালনার পরে কেন ‘দিদি নং ১’-থেকে সরে গিয়েছিলেন পুষ্পিতা!
বর্তমানে দিদি নাম্বার ওয়ান বাংলা জনপ্রিয় নন ফিকশন শো। দিদি নাম্বার ওয়ান বলতেই মাথায় আসে রচনা ব্যানার্জীর কথা। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলার দিদি হয়ে উঠেছেন। বাংলার প্রতিটি মহিলা তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে নিজের দুঃখ-কষ্ট সুখ সকল কিছু ভাগ করে নিয়েছেন এই দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চ যে রচনাকে অনেক কিছু দিয়েছে অনেক কিছু শিখিয়েছে এ কথা বলাই বাহুল্য। একটি সাক্ষাৎকারে একবার অভিনেত্রী বলেছিলেন যে তিনি এত দিদিদের দুঃখ-কষ্ট দেখেছেন যে তিনি এখন আর কাঁদেন না।
রচনাকে ছাড়া মাত্র কয়েকটি সিজন বানিয়েছিল জি বাংলা। জুন মালিয়া এবং দেবশ্রী রায় বেশ অনেক কয়েকটি এপিসোড সঞ্চালনা করেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে যতই প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন রচনার মতো দর্শক টানতে তারা কখনোই সক্ষম হননি। অনেকেই হয়তো জানেন না যে টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই দিদি নাম্বার ওয়ানের যাত্রা শুরু হয়।
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী পুষ্পিতা জানান যে দিদি নাম্বার ওয়ানে যাত্রা তার হাত ধরেই শুরু হয়। ব্যক্তিগত কারণ, মায়ের শেষ স্টেজ ক্যান্সার, এইসব কারণে তিনি একটি মাত্র সিজন সঞ্চালনা করে সরে আসতে বাধ্য হন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। তাই পুষ্পিতার রচনার কাছে আবেদন জানান যে বহুবার তিনি দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে খেলতে গিয়েছেন কিন্তু ওই সঞ্চালিকার পোডিয়ামে দাঁড়াতে পারেননি। তিনি রচনা ব্যানার্জিকে আবেদন জানান যে কোনদিনও বাইরে শো করতে গেলে বা কোথাও বেড়াতে গেলে রচনা ব্যানার্জীর পরিবর্তে দু’তিনটে এপিসোড তিনি সঞ্চালনা করতে চান। তিনি অকপটে স্বীকার করে নেন যে রচনা ব্যানার্জি দিদি নাম্বার ওয়ান কে যে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছেন তা সত্যিই শিক্ষনীয়
অভিনেত্রী পুষ্পিতা জি বাংলার জনপ্রিয় টক শো অপুর সংসারে এসে নিজের সম্বন্ধে বেশ কয়েকটি স্বীকারোক্তি করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো যে তিনি ভালো মা নন। কারন অভিনয়ের ব্যস্ততার মাঝে নিজের ছেলেকে তিনি সময় দিতে পারেননি।