Business Idea: একটি ফাঁকা রুম থেকে শুরু করুন এই ব্যবসা, টাকা আসবে জলের মতো
করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই চাকরির আকাল দেখা গেছে বিশ্বজুড়ে। অর্থনৈতিক অবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ায় বেকারত্বের পরিমান বাড়ছে দিনের পর দিন। ছবিটা একইরকম রয়েছে আমাদের দেশেও। তাই এই অবস্থায় অনেকেই চাকরি পাওয়ার আশা ছেড়ে মন দিচ্ছেন ব্যবসায়। বিগত কয়েকবছরে ভারতে ‘স্টার্ট-আপ’ সংস্থার সংখ্যাটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে অনেকেই শুরু হওয়া ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, অনেকেই আবার মাঝপথে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।
তবে এই প্রতিবেদনে এমন একটি ব্যবসার কথা বলবো, যা একবার শুরু করলে আর বন্ধ করতে হবেনা সহজ কোনো কারণে। আর এই ব্যবসাটি হল পিভিসি পাইপের ব্যবসা। আজকাল পিভিসি পাইপের চাহিদা সব বাড়িতেই রয়েছে। কারণ এখন বাড়িতে জলের সুব্যবস্থা সকলেই করে থাকেন। তাই বাথরুম থেকে রান্নাঘর, বেসিন থেকে কমোড- সব জায়গাতেই জল সরবরাহের জন্য পিভিসি পাইপের প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়াও সাবমার্সিবল পাম্প লাগতেও এই ধরণের পাইপের দরকার পড়ে। সেই কারণে এই দ্রব্যের বাজার দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে।
এবার এই পিভিসি পাইপের ব্যবসা সহজেই শুরু করতে পারবেন আপনি। এমনকি বাড়ি থেকেও এই ব্যবসা করা যায়। তবে তার জন্য একটি কমপক্ষে ১০০ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন। এই জায়গাটা মাথায় ছাদ থাকলে সবথেকে ভালো হয়। কারণ এখানেই বসাতে হবে একাধিক মেশিন। তাই বর্ষাকালে বৃষ্টিতে মেশিনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেই কারণে জাগয়ার উপর ছাদ না হলেও একটি মজবুত ছাউনি থাকা দরকার। এছাড়াও দরকার কাঁচামাল ও উৎপাদনজাত মাল রাখার জন্য আলাদা একটি রুম।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে এই ব্যবসায় বিনিয়োগ, খরচ ও লভ্যাংশের অঙ্কটা কিরকম। কারণ একটি ব্যবসা থেকে লাভ না করা গেলে সেই ব্যবসা চালিয়ে দেউলিয়া হয়ে যেতে হয় উদ্যোগপতিদের। তবে এই ব্যবসা সেরকম নয়। কয়েকলক্ষ টাকা খরচ করে পিভিসি পাইপ তৈরির মেশিন কিনতে হবে। কাঁচামালের দাম পড়বে কয়েকহাজার টাকা। এবার এই মেশিন চালানোর জন্য ইলেক্ট্রিকের প্রয়োজন। তবে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বর্গফুট পিভিসি পাইপ বিক্রি করে এক টাকার মুনাফা পাওয়া যায়। তাই এই ব্যবসা করে মাসে কয়েকলক্ষ টাকাও রোজগার করার সুযোগ রয়েছে।