Nirmala Sitharaman: লোনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নয়, সমস্ত ব্যাংকগুলিকে কড়া হুশিয়ারি অর্থমন্ত্রীর

কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ থেকে পলাতক বহু, ব্যাংক তাদের দেনা মুকুব করে দিয়েছে। ঋণ নিয়ে তা না মিটিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী, যেমন – ‘গীতাঞ্জলি জেমস লিমিটেড’ এর মেহুল চোক্সী, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের বিজয় মাল্য সহ আরো অনেকে। কোথায় তারা? তাদের টাকা কোথায়? সব মুকুব হয়ে গিয়েছে, অথচ একজন সাধারণ মানুষ লোন নিতে যাক ব্যাংকে, মাথার ঘাম পায়ে না ফেলা পর্যন্ত নিস্তার নেই। তাছাড়া দালাল চক্রের দায়ে অনেকে লোন পাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু এর জন্যেও মোটা টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে।

সাধারণ মানুষ লোন চট করে পায় না। মানুষ নিশ্চয় ফুর্তির উদ্দেশ্যে লোন নেয় না। হয় গাড়ি কিনবেন নয়তো বাড়ি করবেন বা জমি কিনবেন। মূলত, বিশেষ প্রয়োজনে মানুষ লোন নিতে যান ব্যাংক থেকে। সেই সময় ব্যাংক নানান কাগজ পত্র চেক করে এবং লোন কতটা পাবেন সেটাও ব্যাংক ঠিক করে। এর মধ্যে রয়েছে চওড়া সুদের বাড়াবাড়ি। সাধারণ মানুষ সেই সুদ মাথা পেতে নিয়েই লোন করেন। অথচ, এরপরেও ব্যাংক তাদের উপর দাদাগিরি চালিয়ে যায়। ঠিক কি রকম ভাবে ব্যাংক দাদাগিরি করে?

এমন বহু মানুষ আছেন যারা লোন নেন, শোধ করেন ঠিকই। কিন্তু, কিছু কিছু সময় সমস্যার কারণে লোন সময় মতো মিটিয়ে উঠতে পারে না বা দিতে পারেন না। সেই সময় ব্যাংকের ব্যাবহার হয়ে যায় মারাত্মক। লোনের টাকা আদায়ের জন্য এতটাই চাপ দেওয়া হচ্ছে ইদানিং যে অনেকেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনা চলার পর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একটি সতর্ক বার্তা দিয়েছেন সকল ব্যাংক ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ঠিক কী সতর্কবার্তা দিয়েছেন সীতারামন?

অর্থমন্ত্রীর কথায়, লোনের টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে আরও মানবিক হতে হবে এবং বিষয়টিকে সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে হবে সমস্ত ব্যাংককে। আর যদি এমনটা না করা হয় তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এমনিতে, অনেক আগে গ্রাহকদের ওপর জোরজবস্তি অথবা যা খুশি তাই করতে পারবে না এমন নির্দেশ আগেই দিয়ে রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।