বাংলার প্রিয় ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’কে ভোটে দাঁড় করিয়ে এবার বড়সড় চমক দিয়েছে তৃণমূল। দিদি নাম্বার ওয়ান শোয়ের দৌলতে সারা বাংলায় খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee)। অভিনয় করে যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি, দিদি নাম্বার ওয়ান তা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। সেই রচনাই এবার রাজনীতির ময়দানে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত স্টুডিও থেকে বেরিয়ে বৈশাখের প্রখর রোদের মধ্যে হুডখোলা গাড়িতে চড়ে প্রচার করে চলেছেন তিনি।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন রচনা। বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন তিনি। আর বিগত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, জনসংযোগ বাড়াতে প্রচারে বেরিয়ে দলীয় কর্মী বা সাধারণ মানুষের বাড়িতে পাত পেড়ে বসে খাচ্ছেন তারকা প্রার্থী বা হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। রচনাও নিয়েছেন সেই পন্থা। কখনো সকলের সঙ্গে বসে ইফতার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে, আবার কখনো চেখে দেখেছেন মুড়ি আলুরদম।
প্রচারে বেরিয়েও নানান খাবার খাওয়ার আবদার আসছে তাঁর কাছে। কেউ ঠাণ্ডা জল দিচ্ছেন, কেউ ঠাণ্ডা পানীয়, কেউ আবার বাড়ির তৈরি করা খাবার। কিন্তু প্রায় সবাইকেই বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিচ্ছেন রচনা। অনেক খাওয়া হয়ে গিয়েছে নাকি তাঁর। এমনকি চন্দননগরের বিখ্যাত জলভরা সন্দেশও খাওয়া হয়ে ওঠেনি রচনার।
শুক্রবার চন্দননগর বিধানসভা এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন রচনা। চন্দননগর পুরনিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত হুডখোলা গাড়িতে প্রচার করেন তিনি। ঢাক বাজিয়ে লক্ষ্মীভাণ্ডার হাতে নিয়ে এদিন প্রচার করেন রচনা। প্রচারের সময়ে নানান খাবার দাবার খেয়ে বারে বারে প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সিঙ্গুরের দই নিয়ে তাঁর মন্তব্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল। এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নাকি আলুপোস্ত চেয়েও খেয়েছেন তিনি। তবে শুক্রবার খাবার এড়িয়েই যান রচনা। তাঁর কথায়, ‘অনেক খাওয়া হয়ে গিয়েছে, আর খেতে পারছি না’। চন্দননগরের জলভরা সন্দেশ অন্যদিন খাবেন বলেও জানান রচনা।