Hoop NewsHoop Trending

গুজরাট থেকে অযোধ্যায় আসছে ১০৮ ফুট লম্বা ধুপ, জ্বলবে টানা ৪৫ দিন, জানেন কে বানিয়েছে এই বিশালাকার ধুপটি!

আগামী মাসেই খুলে যাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের দ্বার। বিগত কয়েক দশকের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে রাম ভক্তদের জন্য। ২০১৯ সালে থেকে অযোধ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম রাম মন্দিরের কাজ শুরু হয়। এই মন্দিরকে নিয়ে ইতিমধ্যে নানা অবাক করে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে আসছে। জানা গেছে, এই মন্দির দৈর্ঘ্যে ৩৮০ ফুট, প্রস্থে ২৫০ ফুট এবং উচ্চতায় ১৬১ ফুট। এই রাম মন্দিরের প্রথম তলে থাকবে ১৬০টি স্তম্ভ দ্বিতীয় তলে থাকবে ১৩২টি ও তৃতীয় তলে থাকবে ৭৪টি স্তম্ভ। মোট পাঁচটি মণ্ডপ থাকবে মন্দিরে। এছাড়াও এই মন্দিরের উদ্বোধনে থাকবে একাধিক চমক। সেগুলি জেনে নেবো এই প্রতিবেদন থেকে।

রাম মন্দির তৈরির জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা হচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রী। যেমন দেওয়ালে যে বেলেপাথর ও মার্বেল বসানো হয়েছে, তা রাজস্থান থেকে আনানো হয়েছে। গোটা মন্দিরে কোনও স্টিল বা ইটের ব্যবহার নেই। জানা গেছে, নাগারার অনুকরণে মন্দিরের স্থাপত্য বা আর্কিটেকচার করা হচ্ছে। মন্দিরে মোট ৪৬টি সেগুন কাঠের দরজা থাকবে। গর্ভগৃহের দরজাটি সোনায় মোড়ানো হবে। এছাড়াও এই মন্দিরে বসানো হবে ১০৮ টি ঘন্টা। ঘন্টার মোট ওজন ১২০০ কেজি। জানা গেছে, তামিলনাড়ুর শ্রী অন্ডাল মোল্ডিং ওয়ার্কস ১ মাস আগেই এই ঘণ্টা তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে। ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরে আসতে শুরু করেছে এই ঘন্টাগুলি।

এছাড়াও এই মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ভগবান রামের উদ্দেশ্যে প্রজ্বলিত হবে একটি ১০৮ ফুট লম্বা ধুপ। এই ধুপটি লম্বায় ১০৮ ফুট এবং চওড়ায় সাড়ে তিন ফুট। এই ধুপটি মন্দিরের উদ্বোধনের দিন জ্বালানো হবে। জানা গেছে, একটানা ৪৫ দিন জ্বলবে এই ধুপ। টানা কয়েকবছর ধরে এই ধূপের নির্মাণ কার্য চলছে সুদূর গুজরাটে। সেখানেই ঘি, তিল, বার্লি, চন্দন কাঠ সহ নানা প্রাকৃতিক সুগন্ধি এবং নানা যজ্ঞের উপকরণ দিয়ে এই বিশালাকার ধুপ নির্মাণ করা হয়েছে ধাপে ধাপে। জানা গেছে, গুজরাট রাজ্যের ভদোদরা নিবাসী গোপালক বিহাভাই ভরওয়াদ এই ধুপ নির্মাণ করছেন।

এই ধুপকে সুদূর গুজরাট থেকে ১৮০০ কিলোমিটার সড়ক পথ পার করে অযোধ্যায় আনা হবে। এই ধুপকে একটি সুসজ্জিত রথে করে নিয়ে আসা হবে জানা গেছে। কয়েকটি ট্রলারকে লম্বা লম্বা জুড়ে সেই রথ বানানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। জানা গেছে, সব ট্রাফিক প্রোটোকল মেনেই এই ধুপকে দেয়াহের এক প্রান্ত থেকে অন্য অরণ্যে আনা হবে। জানা গেছে এই ধুপ ভদোদরা থেকে হলোল, কালোল, গোধরা শেহরা, আরাবল্লী, মোদাসা, শামলাজি হয়ে গুজরাত সীমান্ত পেরিয়ে রাজস্থানের খেরওয়ারা, উদয়পুর, মালওয়ারা, সাওয়ারিয়া শেঠ মন্দির, চিতোরগড়, ভিলওয়ারা, দাদিয়া, কিষাণগড় পৌঁছাবে। সেখান থেকে মেহেন্দিপুর, বালাজি চোরিয়া, ভরতপুর, ফতেহপুর সিক্রি, আগ্রা, লখনউ হয়ে ইটাওয়া, কানপুর, উন্নাও, লখনউ, বরাবাঙ্কি থেকে অযোধ্যায় পৌঁছোবে এই বিহলাকার ধুপ।

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা