whatsapp channel

বিয়ের পর প্রথম রাতেই ফাঁস হলো আসল পর্দা, কুকীর্তি ঘটালেন বাড়ির ঘরজামাই

ভালোবাসা কি কখনও জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া যায়? তা একপ্রকার অসম্ভব। যদি ভালোবাসা ছিনিয়ে নেওয়াও যায়, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। উত্তর ভারতের একটি বিশেষ অংশে আজও অবধি ‘জবরিয়া শাদি’-র প্রথা…

Avatar

Nilanjana Pande

ভালোবাসা কি কখনও জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া যায়? তা একপ্রকার অসম্ভব। যদি ভালোবাসা ছিনিয়ে নেওয়াও যায়, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। উত্তর ভারতের একটি বিশেষ অংশে আজও অবধি ‘জবরিয়া শাদি’-র প্রথা রয়েছে। এই বিয়েতে কনের জন্য জোর করে পাত্র তুলে এনে তাকে বরবেশে সাজিয়ে বিয়ের মণ্ডপে বসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে কনের পছন্দের ছেলেকেই জোর করে তুলে আনা হয়। অপরদিকে অর্থ দেওয়ার বিনিময়ে গরীব ঘরের মেয়েদের একপ্রকার কিনে আনা হয় বাড়ির বৌ হিসাবে। সম্প্রতি আতরঙ্গি নামে একটি অ্যাপ এই ধরনের বিষয় নিয়ে তৈরি ওয়েব সিরিজ ‘দুলহা পকড়’ স্ট্রিম হয়েছে। ওয়েব সিরিজটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। তবে ইদানিং ওটিটির প্রায় সব ওয়েব সিরিজ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি হয়। সুতরাং অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজ তকমাটি একপ্রকার সরিয়ে দেওয়াই উচিত।

উল্লুর ইউটিউব চ্যানেল ‘উল্লু মিউজিক’-এ ‘দুলহা পকড়’-এর অফিশিয়াল ট্রেলার লঞ্চ হয়েছে গত 21 শে সেপ্টেম্বর। তবে ওয়েব সিরিজটি এর আগে থেকেই স্ট্রিম হচ্ছে উল্লুতে। উল্লু মিউজিকে অফিশিয়াল ট্রেলারটি লঞ্চ হয়েছে আতরঙ্গি অ্যাপের প্রোমোশন হিসাবে। এই অ্যাপে বিভিন্ন ওটিটির ওয়েব সিরিজ স্ট্রিম হয়। এর মধ্যে রয়েছে উল্লুও। ট্রেলারের শুরুতে দেখা যায়, ফুলশয্যার রাতে ঘোমটা খুলে কনের মুখ দেখে চমকে ওঠে যোগেশ। কারণ যোগেশ বিয়ে করতে যাওয়ার সময় তার নাকে ক্লোরোফর্ম মাখানো রুমাল দিয়ে অজ্ঞান করে দিয়েছিল কনের বেশে থাকা জাহ্নবী। বরবেশী যোগেশ ঘর থেকে বেরোতে গেলে কনের দাদা সুভাষ ও বৌদি সঙ্গীতা তার পথ আটকায়। নববধূ জাহ্নবী বলে, সে যোগেশকে ভালোবাসে জানতে পেরে সুভাষ তাকে উঠিয়ে নিয়ে এসে বোনের সাথে বিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সদ্য বিয়ে হওয়া যোগেশ বলে, জোর করে তাকে বিয়ে করলেও জাহ্নবী তার ভালোবাসা কোনোদিনই পাবে না।

একসময় যোগেশ জানতে পারে, সঙ্গীতাও এই পরিবারে অসুখী। সুভাষের সাথে তার বিয়ে হয়েছে সঙ্গীতার অমতে। সঙ্গীতার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে যোগেশ। তার জন্য বৌয়ের বাপের বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় সে। যোগেশ তার বাড়িতে ঘরজামাই হয়ে থাকতে চায় শুনে খুশি হয় জাহ্নবী। কিন্তু যোগেশের সাথে সঙ্গীতার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। তব সঙ্গীতা আবিষ্কার করে, জাহ্নবীর সাথেও শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছে যোগেশ। সে জাহ্নবীকে বলে, যোগেশ তাদের দুই জনকে ব্যবহার করছে।

শৈশব থেকেই যোগেশকে ভালোবেসেছিল জাহ্নবী। সে এই বিশ্বাসঘাতকতা সহ্য করতে না পেরে ছুরি দিয়ে যোগেশকে খুন করতে যায়। অপরদিকে সঙ্গীতাও তাকে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। যোগেশ কি সত্যিই তাদের ব্যবহার করেছিল? প্রশ্নের উত্তর পেতে সাবস্ক্রাইব করতে হবে আতরঙ্গী অ্যাপ।

whatsapp logo